বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদে সংসদ সদস্যদের থাকা সংক্রান্ত বিধান অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিশেষ কমিটি বাতিল ও ৩০ দিনের মধ্যে আহবায়ক কমিটি গঠন করে নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে এমপিরা পদাধিকার বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না, তবে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদে আসতে পারবেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধান মালা অনুযায়ী, এতদিন একজন সংসদ সদস্য তার সংসদীয় এলাকার চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
তবে গত ১লা জুন এ বিধান অবৈধ ঘোষণা করে সংক্ষিপ্ত রায় দেন দেশের উচ্চ আদালত। রোববার ১২ দফা নির্দেশনাসহ প্রকাশিত হয় পূর্ণাঙ্গ রায়। রায়ে, এক মাসের মধ্যে আহ্বায়ক কমিটি গঠন এবং দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন, এ রায়ের ফলে পদাধিকার বলে সংসদ সদস্যরা এখন আর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না, তবে নির্বাচনের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদে আসতে পারবেন।
এদিকে, এই রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন শিক্ষারবিদরা। তারা মনে করেন পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হতে হবে সচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে।