দেশ ও মানুষের অকল্যাণ শেখ হাসিনা করবেন, এটি কেউই বিশ্বাস করেনা। পরিবেশ বিষয়ে অামার জ্ঞান সীমিত। যেটুকু জেনেছি, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র হবে পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তিতে। তবুও বিরোধিতার কেন? প্রতিযোগী দেশগুলো অামাদের উন্নয়ন ঠেকাতে মরিয়া, তবে কি সেটিই মুখ্য? দেশবাসীর প্রত্যাশা, রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র হতেই হবে, ফিরে অাসার সুযোগ কম।
অামাদের সবচেয়ে বড় রফতানি খাত তৈরী পোশাক। এই খাতে কাজ করেন প্রায় কোটি মানুষ, অার নির্ভরশীল প্রায় দু-অাড়াই কোটি। এখানে এক মিনিট বিদ্যুত বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। তাছাড়া বিদ্যুত কোথায় প্রয়োজন নেই? এক ঘন্টা বিদ্যুত না থাকলে যোগাযোগ বন্ধ হয় কোটি মোবাইলে। এমন প্রয়োজনের বিদ্যুত উৎপাদন যারা ব্যহত করতে চান, তারা কারা?
প্রতিযোগিতাপুর্ণ বিশ্বে প্রতিটি দেশ তাদের উৎপাদিত পণ্য নিয়ে বিশ্ববাজারে হাজির। যে দেশ in time goods delivery দিতে ব্যর্থ হয় তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। একই পণ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উৎপন্ন হয়। সেখানে নিশ্চয়ই কেউ অামাদের উন্নতি চাইবে না। মনে হচ্ছে অামাদের পরিবেশবাদীরা তাদের স্বার্থে কাজ করেছ, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
অনেক ক্ষেত্রেই নিজের পায়ে কুড়াল মারা অামাদের স্বভাব। ‘নিজের নাক কেটে হলেও পরের যাত্রা ভঙ্গ’ করতেই হবে। অার পরিবেশবাদী’রা মনে হয় কল-কারখানা, বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মানে বাঁধা প্রদানের ঠিকাদারি নিয়েছে। দেশের যে কোনো প্রান্তেই হোক, বাঁধা দিতেই হবে, নইলে যেন মান থাকেনা। কেন মান থাকেনা, এটা মিলিয়ন ডলার কোশ্চেন।
অাশা করি এসব লোকেদের অর্বাচীন চিন্তার চেয়েও বিদ্যুত অনেক বেশি প্রয়োজন। প্রতিদিনই বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। ভারত থেকে বিদ্যুত কেনার পরও লোডসেডিং এড়ানো যাচ্ছে না। কাজেই রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র সহ সকল বিদ্যুত কেন্দ্রের কাজ দ্রুত হোক। বিদ্যুত হলো উন্নয়নের লাইফ-লাইন, কিছু বিদেশি স্বার্থরক্ষাকারীর কথায় এ প্রকল্প থেকে ফিরে অাসার সুযোগ নেই।
লেখকঃ আবদুল মালেক। কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক