ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ¯^তন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদের অফিস থেকে নগদ টাকা ও পোস্টার নিয়ে বের হওয়ার সময় নাসির উদ্দীন সরদার নামে এক ইউপি সদস্য আটক হয়েছেন।
শনিবার বিকালে ঝিনাইদহ শহরের পবহাটী সৃজনী কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সমর্থকরা তাকে আটক করেন। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের মেম্বর নাসির উদ্দীন সরদার স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে নিজেকে দাবী করেছেন। তিনি সিমলা রোকনপুর গ্রামের ফজলুর রহমান সরদারের ছেলে।
আটক নাসির উদ্দীন সরদার ¯^তন্ত্র প্রার্থী হারুনের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহনের বিষয়টি ¯^ীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সৃজনীর নির্বাহী পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ তাকে আর্থিক সুবিধার প্রলোভন দেখান। এ জন্য তাকে টাকা নেবার জন্য শনিবার বিকালে শহরের পবহাটী গ্রামে সৃজনী কার্যালয়ে আসতে বলা হয়। সৃজনী অফিসে আসলে প্রার্থী হারুন ইউপি মেম্বর নাসিরকে কিছু আনারস মার্কার পোষ্টার ও তিন হাজার টাকা দেন।
এদিকে আগে থেকেই ভোটারদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার ম্যাসেজ ছিল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সমর্থকদের কাছে। খবর পেয়ে তারা শহরের পবহাটী গ্রামে ওৎ পেতে ছিলেন। আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীন সরদার প্রার্থীর অফিস থেকে বের হওয়া মাত্রই তাকে আটক করে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের কাছে হাজির করেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, নির্বাচন আচরণ বিধি মোতাবেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের ¯^তন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ড. হারুন অর রশিদ জানান, যে লোকটি টাকাসহ আটক হয়েছেন তিনি আওয়ামীলীগের নেতা। আমার অফিসে তিনি আসেন নি। আমি তাকে চিনিও না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কনক কান্তি দাসের সমর্থকরা এই অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে তিনি দাবী করেন।
তিনি আরো জানান, আমি সারাদিন শৈলকুপায় ছিলাম। সন্ধ্যায় এসে বিষয়টি লোকমুখে জানলাম। তিনি প্রশ্ন তোলেন আওয়ামীলীগের নেতাকে আমি কেন টাকা দেব। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ।