ঝামেলা যেন পেছন-ই ছাড়ছে না দেশের হকির। এবারের শিরোনাম অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। দেশ সেরা এই স্ট্রাইকারের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ। মাঠে অশোভন আচরণের কারণে জিমির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ফেডারেশন কর্তাদের বিরুদ্ধে বেঁ-ফাস মন্তব্যের কারণে, জিমিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ফেডারেশন। তাইতো দেশের হকি পাড়ায় গুঞ্জন, এবার অন্তত পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হতে পারে জিমিকে।
সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড হকি লিগের রাউন্ড টু’তে মাঠের পারফরমেন্সে আলোচনায় না থাকলেও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে আবারো শিরোনামে অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি। ২০১১ সালের ২৪ অক্টোবর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার জামিলের পদত্যাগের দাবিতে যুব হকি বন্ধের অভিযোগে, কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছিলেন জিমি।
এছাড়া ২০১৪ সালে, সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমাতুল্লাহর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ৩ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। সেবার মুচলেকা দিয়ে পার পেলেও এবারের অভিযোগ ছাড়িয়ে গেছে তার আগের সব কীর্তিকে।
জিমির বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ রাউন্ড-টু এর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর ফেডারেশনের শীর্ষ কর্তাদের বাজে ভাষায় সমালোচনা করা। এছাড়া খেলার মাঠে তরুণদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, সেনাবাহিনীর খেলোয়াড়দের শাসানো কিংবা জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়া।
এখানেই শেষ নয়, ওয়ার্ল্ড হকি লিগের প্রচার প্রচারণার দায়িত্বও পেয়েছিলেন জিমি। কিন্তু সেখানেও রয়েছে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। এসবের কারণে গত রোববার জিমিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় হকি ফেডারেশন। যার জবাব দিতে শনিবার ফেডারেশনে এসেছিলেন তিনি।
জিমির ব্যাপারে কি সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন তা জানা যাবে আগামী দু’একদিনের মধ্যেই। তবে এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবার দীর্ঘ মেয়াদে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন দেশ সেরা এই স্ট্রাইকার