মো: আকরাম খাঁন: অবশেষে কালীগঞ্জ শহরের বড় বাজারে অবস্থিত প্রায় অর্ধ শত বছরের পুরাতন হাট চাদনিটি ঝুকিপুর্ণ ঘোষনা করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেকুর রহমান এ স্থাপনাটি ঝুকিপুর্ণ ঘোষণা করা সহ প্রবেশে নিষেধ করে জনসাধারনকে অবহিত করতে দুটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন। স্থাপনাটি নিয়ে সম্প্রতি সমকাল সহ বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়ে এটি সরেজমিন পরিদর্শন করে ঝুকিপুর্ণ ঘোষণা করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) যাদব সরকার, কালীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, কালীগঞ্জ হাট চাদনী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মনি প্রমুখ।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, কালীগঞ্জ শহরের বড় বাজারে অবস্থিত প্রধান হাট চাদনীটি পুরাতন ও অত্যান্ত ঝুকিপুর্ণ। চাদনীটির ছাদ ইতিমধ্যে খসে পড়ছে। যে কোন সময় মুল ভবন ধ্বসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি পত্রিকার খবর ও স্থানীয় ব্যাবসায়ীদের কাছে শুনেছেন, এর আগে নাকি ছাদ ধসে একজন নিহত সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। তাই জনসাধারনের জান মালের নিরাপত্তায় তিনি এ ভবন টি ঝুকিপুর্ণ ঘোষণা করেছেন।
কালীগঞ্জ হাটচাদনী ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন মনি জানান, এই হাট চাদনীর মধ্যে ১৫৩ টি দোকানে প্রায় ৮১৫ জন ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে আসছে। এখানে চাল, কাচা তরকারি, মুদি,মাংশ ও মাছের দোকান রয়েছে। প্রায় অর্ধশত বছরের জ¦রাজীর্ণ চাদনীটিতে তারা জীবনের ঝুকি নিয়ে ব্যাবসা করে আসছে। তারা বার বার পৌর কর্তৃপক্ষ, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। কিন্তু কেউই নতুন হাট চাদনী নির্মানে তেমন কোন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। বর্তমানে এই চাদনীটি ধ্বসে যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষয় ক্ষতি হতে পারে। তিনি জানান, তাদের ব্যাবসার জন্য বিকল্প বসার ব্যবস্থা করে দিলে তারা এই ঝুকিপুর্ণ হাটচাদনী ছেড়ে দিবে। তাদের দাবি পুরাতন হাট চাদনিটি ভেঙ্গে এখানে বহুতল মার্কেট তৈরি করা হোক।