কেউ একজন প্রস্তাব করে দিয়েছে প্রেমের। প্রস্তাবে সাড়া দেবেন কি দেবেন না, ভাবতে গিয়ে মাথায় চলে আসছে বিভিন্ন হিসাব–নিকাশ? কিংবা অনেক দিনের সম্পর্কে হুট করে অনীহা? কেন হয়?
নিশীতা (ছদ্মনাম) ভালো একটা বিষয়ে পড়ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মুনতাসিরকে (ছদ্মনাম) তিনি অনেক দিন ধরেই চেনেন। হঠাৎ করে একদিন মুনতাসির ভালোবাসার কথা জানালেন নিশীতাকে। মুনতাসির পড়েন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এক কলেজে। পড়ালেখার ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহী নন। নিশীতা তাঁর কাছের কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে আলাপ করলেন বিষয়টা নিয়ে। সবার একই কথা—মুনতাসিরের সঙ্গে কি তার জীবনযাপন, মনমানসিকতা মিলবে? ওদিকে মুনতাসিরকেও তাঁর বন্ধুরা বলছেন নিশীতার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে দিতে। মুনতাসির-নিশীতা কেউ কাউকে মাথা থেকে বাদ দিতে পারছেন না। আবার দুজনই সম্পর্কে জড়ালে চিন্তাভাবনা করেই জড়াতে চান? মনের মাঝে চলছে কঠিন হিসাব–নিকাশ।
একসঙ্গেই চাকরি করছেন শোভন (ছদ্মনাম) আর সুস্মিতা (ছদ্মনাম)। কিছুদিন ধরে তাঁদের চেনাজানা। দুজনের কেউ একজন হয়তো এগোবেন সম্পর্কটিকে পরের ধাপে নিয়ে যেতে। সুস্মিতা ভাবছেন, শোভনের বেতন তাঁর চেয়ে বেশি। সামাজিক মর্যাদা, শিক্ষাগত যোগ্যতাতেও শোভনের পরিবার এগিয়ে। সুস্মিতার এগোনো কি ঠিক হবে? তিনি কি মানিয়ে নিতে পারবেন?
সায়মাকে জাওয়াদের (ছদ্মনাম) ভালোই লাগত। হঠাৎ করেই কিছুদিন ধরে সায়মাকে আর ভালো লাগছে না জাওয়াদের। এমন না যে সে অন্য কারও প্রেমে পড়ে গেছে। কিন্তু কেন যেন তার আর সায়মাকে ভালো লাগছে না। এত দিন কিন্তু সায়মাকে তার বেশ ভালোই লাগত। তারা একসঙ্গে ঘুরত, ফিরত, একজন আরেকজনকে তাঁদের ভালোও লাগত। কিন্তু হুট করে যে কী হলো! কী বলবে এখন সে সায়মাকে। হুট করে বলে দেবে যে তাকে আর তার জাওয়াদের লাগছে না? সায়মাই–বা ব্যাপারটা কেমনভাবে নেবে?