এলি হলম্যান যুক্তরাজ্যের কেন্টের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন দন্ত চিকিৎসক। এই নারী কয়েকদিনের ছুটি কাটাতে মেয়েকে নিয়ে ১৩ জুলাই অ্যামিরেটসের বিমানে দুবাই আসেন। বিমানবন্দরে আসতে না আসতেই এক অভিবাসন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন।
অভিযোগ উঠেছে, এলির ভিসাটি অবৈধ। তাই লন্ডনে ফিরে যেতে হবে তাকে। এলি জানান, ওই অভিবাসন কর্মকর্তা তার সাথে খুবই অভদ্র আচরণ করেছিলেন। সে সময় এলি ঘটনার ছবি তুলছিলেন। এতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। এলি নতুন ভিসা নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা এলিকে জিজ্ঞাস করেন আপনি কি বিমানে মদ্যপান করেছিলেন?
এলি জানান, বিমানে ‘কমপ্লিমেন্টারি ওয়াইন’ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সেটাই পান করেছিলেন।
এ কথা শোনা মাত্র এলি এবং তার মেয়েকে আটক করেন তারা। পাসপোর্ট এবং ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। এলির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এলির দাবি, তিনদিন তাদের আটকে রাখা হয় একটা অস্বাস্থ্যকর, অপরিচ্ছন্ন বদ্ধ রুমে। আর তাদেরকে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তা খাবার অযোগ্য। তিন দিন এক প্রকার না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন তারা।
ভিসা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। অভিবাসন আধিকারীকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির ছবি তুলতে শুরু করেছিলেন পর্যটক। তাতে সমস্যা আরও বাড়ল। সঙ্গে জুড়ে গেল মদ্যপানের অভিযোগও। দুবাইয়ের বন্ধুরা দেখা করতে আসলে তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তিন দিন পর জামিন পেয়ে সেখান থেকে বের হন এলি ও তার মেয়ে। কিন্তু পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়নি। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাসপোর্ট ফেরত পাবেন না বলে জানানো হয়েছে তাকে। মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুবাই ছেড়ে যেতেও পারবেন না তিনি।
‘ডিটেইনড ইন দুবাই’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এলি জানায়, তাকে শৌচাগার পরিষ্কার করতে বাধ্য করা হয়। দুবাইয়ে প্রকাশ্যে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু বিমানে কি মদ পান করা নিষেধ?
‘ডিটেইনড ইন দুবাইয়ের’ কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা রাধা স্টারলিং দাবি করেছেন, পর্যটকদের ক্ষেত্রে মদ পান করা বেআইনি নয় বলে ইচ্ছাকৃত একটা ভুয়া ধারণা তৈরি করেছে আরব আমিরশাহী। সে ক্ষেত্রে অনেকেরই প্রশ্ন তাহলে বিমানে কেন মদ পরিবেশন করা হয়।
স্টারলিং জানান, জেনে শুনে বিমানে মদ দেওয়ায় বিমানসংস্থাকে দোষ দিচ্ছেন অনেকেই।