সেই ৩২২ নামের তালিকা থেকেই এলেন পাঁচজন

শনিবার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং আরও চারজনকে নির্বাচন কমিশনার করা হয়। বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা। তাঁর চাকরিজীবন শুরু হয়েছিল মুনসেফ (সহকারী জজ) হিসেবে। ১৯৯৭ সালে জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পান। অবসরের পর তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে কলাম লেখেন

নতুন নির্বাচন কমিশনারদের মধ্যে বেগম রাশিদা সুলতানার নামটি ছিল প্রকাশিত ৩২২ জনের তালিকার ২৬১ নম্বর ক্রমিকে (যোগ্যতার ক্রম অনুসারে নয়)। তিনি ২০২০ সালে রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসরোত্তর ছুটিতে যান। গত বছর তাঁর অবসরজীবন শুরু হয়। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে। তবে তিনি এখন খুলনায় থাকেন একমাত্র সন্তানের কাছে। তাঁর ছেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর নামটি ছিল প্রকাশিত তালিকার ২৩৬ ক্রমিকে (যোগ্যতার ক্রম অনুসারে নয়)।

আরেক নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গত বছর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে অবসরে যান। তিনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর নামটিও এসেছে প্রকাশিত তালিকা (ক্রমিক ১৫৪, যোগ্যতার ক্রম অনুসারে নয়) থেকে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মো. আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার হওয়া বড় কথা নয়, কাজটি সুন্দরভাবে করতে পারাই বড় কথা।’

অপর নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে গত ডিসেম্বরে অবসরে গেছেন। এর আগে তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। তাঁর নামটি ছিল অনুসন্ধান কমিটির প্রকাশিত তালিকায় ১৪৪ ক্রমিকে (যোগ্যতার ক্রম অনুসারে নয়)।

ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। ব্যক্তিপর্যায়েও নাম আহ্বান করা হয়। ১৪ ফেব্রুয়ারি ৩২২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে কমিটি। এরপরও কিছু নামের প্রস্তাব পেয়েছিল অনুসন্ধান কমিটি। তবে বিএনপিসহ কয়েকটি দল অনুসন্ধান কমিটির কাছে ইসি গঠনে কোনো নামের প্রস্তাব পাঠায়নি।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, অনুসন্ধান কমিটির প্রকাশ করা ৩২২ জনের তালিকা থেকেই নতুন নির্বাচন কমিশনের পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *