ডেস্ক রিপোর্ট : লাস্যময়ী তরুণীর মুখে একগাল দাড়ি! আপাত-বৈপরীত্যের এ ছবি দেখা গেছে এ বছরের ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতায়, যখন গানের ছোঁয়ায় মঞ্চ মাত করলেন অস্ট্রিয়ার শিল্পী কঞ্চিতা উর্স্ট। রূপান্তরকামীর প্রচলিত সব ধ্যান-ধারণা চুরমার করে দিয়েছেন অস্ট্রিয়ার সঙ্গীতশিল্পী কঞ্চিতা। বেশভূষায় তিনি পুরোদস্তুর নারী। মুখের গড়ন, চেহারার আদল, মানসিকতা ও বাচনভঙ্গিথ সব কিছুতেই তিনি নারী। অথচ সুন্দর মুখ ছেয়ে রয়েছে ঘন দাড়িতে। সাক্ষাৎকারে ২৫বছর বয়সী এ গায়িকা জানিয়েছেন, ছোট থেকেই মনে করতেন পুরুষের শরীরে তিনি এক বন্দি নারী। সে কারণে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে পাল্টাতে শুরু করেন জন্মসূত্রে টম নিউওয়র্থ। ধীরে ধীরে নারী হিসেবেই সমাজে গণ্য হন তিনি।
লিঙ্গ রূপান্তর করার ঘটনা আজ আর নতুন নয়। পুরুষ হয়ে জন্মালেও পরবর্তীকালে স্বেচ্ছায় লিঙ্গ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এ পথে আদ্যন্ত ব্যতিক্রমী কঞ্চিতা। পোশাক-প্রসাধনে নারী হয়ে উঠলেও গালে ঘন দাড়ি রাখার বাতিক ছাড়েননি তিনি। ফলে মঞ্চে তিনি প্রবেশ করলেই চমকে ওঠেন শ্রোতারা। চেহারার এই বৈপরীত্যের জেরে অবশ্য ধেয়ে আসে সমালোচনার ঝড়। ইউরোভিশন প্রতিযোগিতায় তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে রাশিয়ার সমকামবিরোধীরা। কঞ্চিতা নিজে অবশ্য বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী, সুন্দর সাজ-পোশাক ব্যবহার করি আর দারুণ চুল ও দাড়ি রাখি।’
তবে শনিবার যাবতীয় বিতর্কে জল ঢেলে শেষ পর্যন্ত ২৯০ পয়েন্ট জিতে ইউরোভিশন ২০১৪ প্রতিযোগিতায় সেরার শিরোপা লাভ করেছেন কঞ্চিতা। তার গলার জাদুতে পাগল হয়েছেন শ্রোতারা। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছেছে তার গান ‘রাইজ লাইক আ ফিনিক্স’। পুরস্কার বিতরণী ভাষণে তিনি জানান, ‘শান্তি ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সবাইকে এই রাতটা উৎসর্গ করলাম। তুমি জানো আসলে তুমি কে। আমরাই সংহতি। আমাদের ?আর থামানো যাবে না। রয়টার্স ও ডেইলি মেইল