বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা থেকে পৌনে সাতটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের দ্বিতীয় মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রহমত আলীর আদালত এই শাস্তি দেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া সৈয়দ শাহ সড়কের নূর বেগম মসজিদ এলাকার প্রবাসী ছালেহ আহমদের স্ত্রী আয়েশা বেগম নামে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তিনি
তার বাসার কাজের বুয়া মমতাজ বেগমের জামিনের জন্য আদালতে যান। আইনজীবীর মধ্যমে জামিন চাইলে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।
এ সময় হতাশার সুরে আয়েশা বেগম “আল্লাহ বিচার করবে” এই কথা বলে আদালত থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় কথাটি শুনে ফেলেন বিচারক। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে বিচারক আয়েশাকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। বিচারকের নির্দেশে পুলিশ নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা আয়েশাকে গ্রেফতার করে আদালতের কাঠগরায় হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম কোর্টেরে এক সিনিয়ন আইনজীবী বিষয়টি জেনে নিজেই ২০০ টাকার বন্ড দিয়ে আয়েশা আক্তারকে ছাড়িয়ে নেন।
আয়েশা আক্তার জানান, আমার বাসায় কাজের বুয়া ছয় সন্তানের জননী মমতাজ বেগমকে তার স্বজনরা পুলিশকে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। আমি তার সন্তানদের কান্না সহ্য করতে না পেরে নিজের টাকা খরচ করে অসুস্থ শরীরে তার জামিনের জন্য আদালতে যাই। আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চাই, জামিন না পেয়ে চলে আসার সময় হতাশ হয়ে বললাম যারা মিথ্যা মামলা দিয়ে এই অসহায় নারীকে জেল খাটাচ্ছে তাদের বিচার আল্লাহ করবেন। তবে বিচারক কী বুঝেছেন জানি না।
আয়েশা আরও জানান, কাঠগরায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আমার রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না। তার পরেও আমাকে এই শাস্তি ভোগ করতে হলো।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ২৭ তারিখে আয়েশা সন্তান প্রসব করবেন বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসক।শী নি