কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এক আইনজীবী। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দু’জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ভারুয়াখালী ইউনিয়নের আনুর দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’পক্ষ মুখোমুখী অবস্থান করছে।
জানা যায়, ভারুয়াখালী ইউনিয়নের আনুর দোকান এলাকার করিম সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মাষ্টার এডভোকেট নুরুল ইসলাম স্থানীয় অলি আহম্মদ সওদাগরের দোকানে বসে একটি বিরোধপূর্ণ জমির কাগজপত্র দেখছিলেন।
ওই সময় জাহাঙ্গীর, রাসেল ও নাসির নামের দু’সন্ত্রাসী আইনজীবী নুরুল ইসলামের উপর চড়াও হয়। সন্ত্রাসী রাসেল ধারালো ছুরি নিয়ে আইনজীবি নুরুল ইসলামকে ছুকিাঘাত করার চেষ্টা করে। এ সময় আইনজীবীকে রক্ষায় পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী রাসেল তাদের উপরও ছুরি চালায়। এতে মিয়া হোসেন নামের একজন গুরুতর আহত হয়। এলাকবাবাসী উদ্ধার করে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
জানা যায়, হামলাকারী তিনজনই স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পুত্র।
হামলার শিকার এডভোকেট নুরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের পুত্ররা তাদের পারিবারিক কিছু সম্পত্তি সম্প্রতি জোর পূবর্ক দখল করে নিয়ে তার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। শুক্রবার তাদের নিয়ে কাগজপত্র পর্যালোচনা করার এক পর্যায়ে সন্ত্রাসী রাসেল তাকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করে।
আহত নুরুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসীরা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। বর্তমানে সন্ত্রাসীরা সংঘটিত হয়ে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে। যে কোন সময় বড় ধরনের হামলার মুখোমুখি হওয়ার আশংকা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এডভোকেট নুরুল ইসলামের সহর্ধীনি শিক্ষিকা জোহরা বেগম নুরী জানান, সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হুমকির মুখে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের মন্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।