আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়া বাজার সংলগ্ন রামচন্দ্রপুর পল¬ী স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ অবকাঠামো নিয়ে এখন বেহাল অবস্থায় রয়েছে। গাইবান্ধা সদরের রামন্দ্রপুর ইউনিয়নের পার্বতীপুর মৌজায় ৬ একর জমির উপর পল¬ীর অসহায় মানুষের চিকিৎসার লক্ষ্যে পাকিস্তান আমলে স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় ১০ বেডের এই হাসপাতালটি স্থাপন করা হয়। সে সময় ওই হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পদে ২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োজিত ছিল। স্বাধীনতার পর অজ্ঞাত কারণে ওই হাসপাতালটির প্রতি সরকারের দৃষ্টি কমে যায়। ফলে ক্রমান্বয়ে হাসপাতালটি থেকে রোগীরা চিকিৎসা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। কোন রকমে চলতে থাকে এর কার্যক্রম। ১০ বেডের এই হাসপাতালটিতে এখন কোন রোগী ভর্তি হয় না। এখানে এখন শুধু বহির্বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হলেও অপ্রয়োজনীয় অনেক কর্মচারী রয়েছে বহাল তবিয়তে। ২০০৯-১০ অর্থ বছর পর্যন্ত হাসপাতালে বেড চালু থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে অভ্যন্তরীণ বিভাগ বন্ধ করে দেয়া হয়। ফলে রোগী ভর্তি বন্ধ হয়ে যায়। পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার একাংশসহ সদর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ হাসপাতালটিতে জরুরী চিকিৎসার জন্য নির্ভরশীল ছিল। গত দু’বছর থেকে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতি বছর প্রায় পৌনে ৩ লাখ টাকার অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়। এলাকাবাসী জানায়, কর্তব্যরত চিকিৎসক সেখানে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না। অথচ বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগীরা এলেও চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যায়। অপর দিকে হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো অযতœ অবহেলায় পড়ে থাকায় সেগুলোর এখন জরাজীর্ণ দশা। অনেক মূল্যবান জিনিস চুরি হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া জন শূন্যতার কারণে রাতে হাসপাতাল ক্যাম্পাসটি সমাজ বিরোধীদের আড্ডাখানায় পরিণত হচ্ছে।