আনারস

প্রকৃতিতে এসেছে পরিবর্তন। বসন্তকালে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের গরম। সূর্যের কঠোরতায় অনেকেরই জ্বর হচ্ছে। আর যাদের কখনোই বসন্ত হয়নি, তারা মৌসুমি রোগ বসন্ত দূর করার জন্য খান প্রচুর পরিমাণে মৌসুমি ফল। গরম-ঠান্ডার জ্বর, জ্বর-জ্বর ভাব দূর করে এই ফল। এতে রয়েছে ব্যথা দূরকারী উপাদান। তাই শরীরের ব্যথা দূর করার জন্য এর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। আনারস কৃমিনাশক। কৃমি দূর করার জন্য খালি পেটে (সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে) আনারস খাওয়া উচিত।

দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির (রক্তবাহী নালি) দেয়ালে রক্ত না জমার জন্য সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত যেতে পারে। হূৎপিণ্ড আমাদের শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হূৎপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা দেহের কাটা, ছেঁড়া, ইনফেকশনজনিত সমস্যা দূর করে। জিহ্বা, তালু, দাঁত, মাড়ির যেকোনো অসুখের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আনারস।

দাঁতের অপারেশনের পর আনারসের রস শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে খনিজ লবণ ম্যাঙ্গানিজ, যা দাঁত, হাড়, চুলকে করে শক্তিশালী। গবেষণা করে দেখা গেছে যে নিয়মিত আনারস খান এমন ব্যক্তিদের ঠান্ডা লাগা, গলাব্যথা, সাইনোসাইটিস-জাতীয় অসুখগুলো কম হয়। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি, যা আমাদের শক্তি জোগায়। প্রোটিন খাবার এ ফলটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। আনারস টাটকা খাওয়াই ভালো। আর আনারস খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে বা পরে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *