রেলমন্ত্রীর বিয়ে : গত বছরে দেশবাসীর মাঝে একমাত্র বিনোদনের খোরাক ছিল রেলমন্ত্রীর বিয়ে। ৬৭ বছর পর মন্ত্রীর জীবনে লাগে বসন্তের ছোঁয়া। চিরকুমার সংঘের মায়া ত্যাগ করে মন্ত্রী মুজিবুল হক বসে পড়েন বিয়ের পিঁড়িতে। এই প্রথম দেশের মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র সদস্য হিসেবে বিয়ের ঘটনা ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি। রীতিমতো ঢাকঢোল ও সানই বাজিয়ে বিয়ে করায় হাসির খোরাকও হন তিনি। মাত্র ২৮ বছর বয়সী এ পাত্রী কুমিল্লার চান্দিনার কন্যা হনুফা আক্তার রিক্তা। পেশায় আইনজীবী। মন্ত্রীর বিবাহোত্তর সংবর্ধনাও ছিল রাজসিক। প্রথম দফা সংসদ ভবনে এবং পরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তার নিজ এলাকায় হাজার হাজার অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। এসব নিয়ে মানুষের এত আগ্রহ ছিল যে, একজন পরিচালক মন্ত্রীর বিয়ে নিয়ে সিনেমা বানানোরও ঘোষণা দেন। যা দেশের সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
কারাগারে তাহেরপুত্র বিপ্লবের বিয়ে : বছরের আলোচিত বিয়ে ছিলে লক্ষ্মীপুর কারাগারে খুনের আসামির বিয়ে। লক্ষ্মীপুরের পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহেরের বড় ছেলে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি এইচএম বিপ্লব ১ আগস্ট কারাগারে বসে বিয়ে করার পর রাতে কারা ফটকের একটি কক্ষে নববধূর সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা একান্তে কাটিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে কারাগারে থেকে প্রেম, বিয়ে সবই স্বাচ্ছন্দ্যে উদযাপন করেছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রাপ্ত আসামি বিপ্লব।