বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সাংগঠনিক কাজে গতি আনার পাশাপাশি ঝিমিয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে ৫ জানুয়ারিকে টার্গেট করেছে বিএনপি। এদিন ব্যাপক শো ডাউনের প্রস্তুতিও নিয়েছে তারা। অপরদিকে বিএনপিকে কোনো রকম ছাড় না দিয়ে রাজপথ দখলে রাখতে মরিয়া ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে দু’দলের মুখোমুখি অবস্থানে কোনো রকম সংঘাত সহ্য করা হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার।
গত বছর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের শেষ দিকে এসে পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনকে অস্থিতিশীল করে রেখেছিলো চট্টগ্রামের বিএনপি। জামায়াতকে সাথে নিয়ে চালানো হয়েছিলো ব্যাপক নাশকতা। কিন্তু আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে না পারায় রাজপথে থাকা নেতা-কর্মীরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। যে কারণে স্তিমিত হয়ে যায় বিএনপির সব ধরণের কার্যক্রম। তবে সে হতাশা কাটিয়ে রাজপথ কাঁপাতে আবারো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তারা। এবার তাদের টার্গেট ৫ জানুয়ারি।
নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সারা দেশের মানুষ এখন এগিয়ে আসার জন্য প্রস্তুত আছে। দেশনেত্রী বেগম জিয়া তাই দেশটাকে মুক্ত করবার জন্য এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।’
নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ‘সরকার দেশে এখন যে চরম অগণতান্ত্রিক আচরণ শুরু করেছে, আমরা ৫ জানুয়ারি তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে চাই।’
তবে রাজপথে কোনো ছাড় দিতে রাজি নয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে বিএনপিকে পরাজিত শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিরোধের ঘোষণা তাদের।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘তার পরাজয় বরন করেছে, এখন আর কিসের হুঙ্কার। হুঙ্কার দিয়ে তারা রাজপথে কিছুই করতে পারবেনা। তারা এখন পরাজিত শক্তি।’
এদিকে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি করতে না দেয়ার ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
সিএমপি কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল বলেন, ‘জনগণের জান-মালের ক্ষতি হবে, গাড়ি ভাংচুর হবে এমন কর্মসূচিতে আমরা অবশ্যই বাধা দিবো।’
অবশ্য বিএনপি নেতারা বলছেন, দলীয় চেয়ারপার্সন ৫ জানুয়ারি সামনে রেখে যে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন চট্টগ্রামের নেতা-কর্মীরা যে কোনো মূল্যে তা বাস্তবায়ন করবে।