কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কটিয়াদী উপজেলার ভরারদিয়া গ্রামে। গত রবিবার দুপুরে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় উপজেলার পূর্ব মন্ডলভোগ গ্রামের মিশ্রি মিয়ার কন্যা অঞ্জনা আক্তার (২৬) কে প্রায় ৯ বৎসর পূর্বে ভরারদিয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মোঃ কালাম মিয়ার সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর সুখে শান্তিতে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত হতে থাকাব¯’ায় অঞ্জনা আক্তার ২সন্তানের জননী হয়। এদিকে স্বামী কালাম মিয়া বাড়ীঘর করার জন্য টাকা পয়সা এনে দেওয়ার জন্য তার স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। অঞ্জনা বেগম স্বামী সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করিয়া পিতার বাড়ী হইতে পাঁচ লাখ টাকা এনে দেয়। কিš‘ আরো টাকা এনে দেওয়ার জন্য স্বামী কালাম সহ তার ভাই বা”চু মিয়া, ভাবী করিমা, শ্বশুর জিল্লুর রহমান, আওয়াল গণ চাপ প্রয়োগ করে। গত শনিবার অঞ্জনা আক্তার স্বামীর চাপের মুখে টাকা আনার জন্য পিত্রালয়ে যায়। রবিবার দুপুরে শুন্য হাতে অঞ্জনা স্বামীর বাড়ীতে আসলে স্বামী কালাম অঞ্জনাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালী করে। এক পর্যায়ে স্বামী কালাম তাহার ভাই বা”চু মিয়া, ভাবী কারিমা, শ্বশুর জিল্লুর রহমান ভাসুর পুত্র আল আমিন গণ অঞ্জনাকে বেধড়ক মারপিট করিয়া ধিক্কার ও অপমানজনক কথাবার্তা বলে। স্বামী, শ্বশুর, ভাবী, ভাসুরদের অপমান সইতে না পেরে অঞ্জনা আক্তার বিষপান করে। স্বামীর বাড়ীর লোকজন অঞ্জনাকে জহুর“ল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে অঞ্জনা মারা যায়। এ ব্যাপারে মৃতার মামা সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে কটিয়াদী থানায় ৩০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশ মৃতার লাশ কিশোরগঞ্জ আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।