আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ তীব্র শীত ও চলমান অবরোধকে উপেক্ষা করেও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদী চরাঞ্চল বেষ্টিত গাইবান্ধার প্রত্যন্ত সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা তাদের প্রধান ইরি-বোরো চাষে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবছর শীত ও কুয়াশা বেশী থাকলেও ইরি-বোরো বীজতলায় খুব বেশী ক্ষতি হয়নি। ফলে কৃষকদেরকে বীজ সংকটে পড়তে না হওয়ায় তারা ৩০ হতে ৪০ দিন বয়সী সতেজ চারা জমিতে রোপন করতে পারছেন। উল্লেখ্য, এ বছর সুন্দরগঞ্জে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড, ১৯ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে উফশী ও ৫০ হেক্টর জমিতে ¯’ানীয় জাত। ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হাইব্রিড ২৩ হাজার ১শ’ ২৫ মে. টন, উফশী ৭৪ হাজার ৩শ’ ৩ মে. টন এবং ¯’ানীয় ১শ’ ৩ মে. টনসহ মোট ৯৭ হাজার ৫শ’ ৩১ মে. টন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সত্যেন কুমার জানান, বোরো চারা লাগানোর এটাই উপযুক্ত সময়। তাই কৃষকরা বসে না থেকে বোরো চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফল এবছর এই উপজেলায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত ইরি-বোরো ধান উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।