চলন্ত ট্রেনের ছাদে ‘চল সাইয়া সাইয়া সাইয়া’ গাইতে গাইতে মালাইকার কোমর দোলানো উদ্দাম নাচের কথা হিন্দি সিনেমার দর্শকদের সহজে ভোলার কথা নয়। পরিচালক-প্রযোজকেরা সে কথা জানতেন বলেই মালাইকা আবারও রূপালি পর্দায় এসেছিলেন ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানের সঙ্গে। কিন্তু মালাইকার অভিনেতা-প্রযোজক স্বামী আরবাজ খান খান ইঙ্গিত দিয়েছেন, মালাইকা হয়তো ‘ঘরের বাইরে’ এমন গানে আর না-ও কাজ করতে পারেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
এ প্রসঙ্গে আরবাজ বলেন, ‘মালাইকার শুরুটাই হয়েছিল দিল সে ছবির ওই ‘সাইয়া সাইয়া’ গান দিয়ে। এরপর ও যখন ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ করল, তখন সে ভেবেছিল এইটাও বোধ হয় আগেরটার মতোই হবে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সাজিদ খান এবং ফারাহ খানও মালাইকাকে তাঁদের ছবিতে কাজ করার প্রস্তাব দেন। মালাইকাও তাঁদের ছবিতে কাজ করে; কেননা তাঁদের সঙ্গে মালাইকার সম্পর্ক খুবই ভালো। কিন্তু আমি জানি না, এখন সে ‘বাইরে’ এমন কাজ আরও করতে চায় কি না।
‘চল সাইয়া সাইয়া’র মতোই মালাইকা অভিনীত ‘মুন্নি বদনাম হুই’ গানটিও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। এই গানটি ছিল দাবাং ছবির এবং ২০১০ সালের এই ছবিটির প্রযোজক ছিলেন মালাইকার স্বামী আরবাজ খান। এ ছাড়া সাজিদ খান এবং ফারাহ খানও এক অর্থে মালাইকার ঘরেরই লোক।
আরবাজ বলেন, তিনি নিজের ছবিতে মালাইকাকে আইটেম গানে নিয়েছিলেন সে ভালো শিল্পী বলে, নিজের স্ত্রী বলে নয়। তিনি বলেন, ‘মালাইকা দারুণ নৃত্যশিল্পী, সেটা সবাই জানেন। শুধু আমিই নই, অনেক চলচ্চিত্রনির্মাতাই বিশেষ কিছু দৃশ্যের জন্য মালাইকাকেই কাজে নেওয়ার কথা ভাবেন।’ কিন্তু আরবাজ ভারতীয় গণমাধ্যমের কাছে স্পষ্টতই এ বার্তা দিয়েছেন যে, মালাইকা হয়তো অন্য কোনো নির্মাতার ছবিতে আইটেম গানে আর কাজ না-ও করতে পারেন।
অবশ্য, নিজের স্ত্রীর এমন আইটেম গানে অভিনয় করা নিয়ে তিনি মোটেই চিন্তিত নন বলেও জানান আরবাজ। তিনি বলেন,‘মানুষ এভাবে ভাবলে কী করার আছে? ওর প্রতি মানুষের মনোযোগ নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি তাঁকে অনেক দিন ধরে চিনি এবং এসবে আমার কোনো কিছু যায়-আসে না।’