মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, ফাঁসির প্রতিক্ষায় থাকা জামায়াতের সিনিয়র সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাল আছেন, সুস্থ আছে এবং দৃঢ় আছেন।
আজ বৃহস্পতিবার কারাগারে কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মো. মুনির সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
বেলা পৌনে ১১টায় তার নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি আইনজীবী প্রতিনিধি দল কামারুজ্জমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কারাভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। ১ ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে তারা বেরিয়ে আসেন বেলা পৌনে ১২টায়।
কামারুজ্জামানের সঙ্গে কি কথা হয়েছে জানতে চাইলে শিশির মুনির সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি (কামারুজ্জামান) দেশবাসীকে সালাম দিয়েছেন এবং দোয়া চেয়েছেন। জেল কৃর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। গতকাল তাকে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পড়ে শোনানো হয়েছে। রায়ের বিষয়ে তিনি আমাদের পরামর্শ চেয়েছেন। রায়ে যেসব বিষয়ে ডিসকাশন হয়েছে সেসব বিষয়ে তিনি আমাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যাও চেয়েছেন। এ জাতীয় মামলায় দেশ-বিদেশে কী ধরনের নজির রয়েছে তা জানতে চেয়েছেন তিনি। আমরা উনাকে যথাসাধ্য জানানোর চেষ্টা করেছি।’
কামারুজ্জামান ক্ষমা চাইবেন কি না জানতে চাইলে প্রশ্নটি এড়িয়ে গিয়ে শিশির মুনির বলেন, ‘এটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এ বিষয়ে তিনি চিন্তা করবেন, ভাববেন এবং এখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
রিজনেবল সময় বলতে উনি কি বোঝাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘আইনের বিধি অনুযায়ী এখনো ৭ দিন সময় পাওয়ার কথা। এই সময়ের মধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ ধরনের মামলায় জেলকোড এপ্লিকেবল হবে না বলা হচ্ছে- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে শিশির মুনির বলেন, ‘এটা টোটালি মিস কনসেপশন