কেবলমাত্র বিত্তশালীর বাহন ট্যাক্সিক্যাব ছাড়া, রিক্সা থেকে শুরু করে বাস, সকল গণপরিবহনে দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভাড়ার নৈরাজ্য। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রাজধানীবাসী।মালিকপক্ষের দাবি, দীর্ঘ যানজটে ট্রিপ কমে যাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশি ভাড়া আদায় করছে কেউ কেউ। অন্যদিকে গণপরিবহন ব্যবস্থায় সরকারের নজরদারীর অভাবে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা।তবে সমস্যা সমাধানে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা জানিয়েছে বিআরটিএ ও পুলিশ।বাসে ভাড়া নির্ধারণের দরকষাকষিতে প্রতিদিনই হেরে যান যাত্রী। সকাল-বিকাল অফিসে আসা যাওয়ার পথে, দুপুরে কড়া রোদ অথবা বৃষ্টিতে, সমান দূরত্বে ভিন্ন ভাড়া দাবি করেন এর চালক। ১৯৬০ সালে নির্ধারণে পর ৬২ ও ৭৪ সালে কেবল দুবার রিক্সা ভাড়া হালনাগাদ করে সিটি করপোরেশন।
আরেক গণপরিবহন সিএনজি অটোরিক্সা ও এর ড্রাইভারদের অত্যাচারেও অতিষ্ঠ নগরবাসী। সিটিং সার্ভিসের দোহাইয়ে বাসে ওঠাই দায়।
মিরপুর ১২ থেকে ফার্মগেট বিআরটিএ নির্ধারিত মিনিবাসের ভাড়া ৮.৪৮ টাকা হলেও সর্ব নিম্ন ৭ টাকার বদলে যাত্রীকে গুনতে হচ্ছে ১২ টাকা। আবার ফার্মগেটের পর যেকোনো স্থানের জন্য সদর ঘাটের ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।এই ভাড়া দাবি শেওড়া পাড়া থেকে ফার্মগেটের। অথচ মিরপুর ১২ থেকে বিআরটিএ নির্ধারিত মিনিবাসের ভাড়া ৮.৪৮ পয়সা। আবার ফার্মগেটের পর যেকোনো স্থানের ভাড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা দাবি বাস কন্ডাক্টরের।তবে যানজটে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বেশি ভাড়া চাওয় হয় এমন দাবি করেছে মালিকপক্ষ।এসব অনিয়ম ঠেকাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার করল বিআরটিএ ও ট্রাফিক।ভাড়া আদায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।