আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চলের একটি বাড়িতে ভাড়াটের ঘরে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ধারণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই বাড়ির মালিকের ছেলে নাহিদের (৩০) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিল্পাঞ্চলের বাইপাইল ব্রিজ সংলগ্ন নামা বাজার এলাকার রেজাউদ্দিনের বাড়িতে।
তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাহিদ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে আটক করছে না এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আর এ সুযোগে ভাড়াটেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে নাহিদ।

ভুক্তভোগী ভাড়াটে নিপা বেগম ও সুমন দম্পতি জানান, ওই বাড়ির ১২ টি কক্ষে বিভিন্ন পোষাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিকের ভাড়া থাকেন। এরমধ্যে একমাস বাড়িটি খালি ছিল। এই সুযোগে ভাড়াটেদের সাতটি কক্ষ, টয়লেট ও গোসলখানায় গোপন ক্যামেরা স্থাপন করে নাহিদ ও ম্যানেজার আমিনুল (৩৫)।

বেশ কয়েকদিন আগে ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে নাহিদের রুমে তল্লাসী চালিয়ে ভিডিও রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত হয় ভাড়াটেরা।

বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানানো হয়। এরপর নাহিদ ও তার বন্ধু নামা বাজার এলাকার জেন্টস পার্লারের মালিক জুয়েল রানা এবং বাড়ির মালিকপক্ষের লোকজন এসে নাহিদের রুম থেকে দুইটি কম্পিউটার, একটি ল্যাপটপ ও গোপন ক্যামেরা খুলে নিয়ে ঘটনার আলামত সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু এসব সরিয়ে নেওয়ার পর থেকে ভাড়াটেদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশের হুমকি দিতে থাকেন নাহিদ।

নিরুপায় হয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায় ভাড়াটেরা। সংবাদ পেয়ে শনিবার আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোশারফ হোসেন ওই বাড়িতে গিয়ে তল্লাসী চালিয়ে আরো দুইটি গোপন ক্যামেরা উদ্ধার করেন। কিন্তু এরপরেও অভিযুক্ত নাহিদকে গ্রেফতার না করে বিষয়টি এলাকার মাতবরের মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দিয়ে থানায় ফিরে যান তিনি।

ভুক্তভোগী ভাড়াটেরা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরেও টাকার বিনিময়ে আসামি আটক না করে চলে যান। বর্তমানে নাহিদ ও তার লোকজন ভাড়াটেদের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘ভুক্তভোগিরা থানায় লিখিত অভিযোগ করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’