স্টাফ রিপোর্টার
বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আটক বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন কোন না কোন এলাকা থেকে সাধারন মানুষ তুলে এনে ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক পাওয়া গেছে বলে হাজার হাজার টাকা আদায় করছে। যারা টাকা দিতে পারছে না তাদের ওই সব মাদক দিয়ে চালান দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত এ ঘটনা ঘটলেও থানা কর্তা কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় থানায় কর্মরত এএসআই ও এসআইদের দৌরাত্ম চরমে উঠেছে।
বেনাপোল পৌরসভার দিঘিরপাড় গ্রামের লোকজন জানান, শুক্রবার রাতে মফিজুর রহমান নামে এক যুবককে মিথ্যা অভিযোগে আটক করে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের দুই এস আই। পুলিশের চাহিদা মিটাতে না পারায় তাকে ১০০ পিস ইয়াবাসহ চালান দেয়া হয়েছে। মফিজুর বেনাপোলের একটি পরিবহনের কাউন্টারের কলারম্যান হিসাবে চাকরি করে।
মফিজুরের স্ত্রী ময়না খাতুন জানায়, তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বেনাপোল পোর্ট থানার দুইজন দারোগা এসআই ইকবাল ও এসআই মেজবাহ ধরে নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে তাকে আটক করে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ টাকা তার পরিবারের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিলে তাকে ১০০ পিচ ইয়াবাসহ চালান দেয়। তিনি আরো জানান, আমার ছোট দুটি ছেলে মেয়ে আমি এখন এদের নিয়ে কি করব।
এ ঘটনায় শনিবার বিকেলে দিঘিরপাড় গ্রামবাসী সত্য ঘটনা উদঘাটন এবং পুলিশের নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটনের কাছে বিচার দাবি করেন।
এলাকাবাসি জানায়, আমরা সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের বাড়ি থেকে ধরে এনে ইয়াবা ফেনসিডিল দিয়ে চালান দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অংকের টাকা দাবি করে পোর্ট থানা পুলিশ। তাদের চাহিদা মোতাবেক টাকা ধার দেনা গয়না বন্ধক রেখে দিয়ে ছাড়িয়ে আনা হয় স্বজনদের। এ ভাবে আর কতদিন চলবে।
এ ব্যাপারে এস আই মেজবাহ জানান, আটক মফিজুর একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাকে মামলা দিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে। #