এদিকে বন্যার্তদের বাঁচাতে প্রবাসীদের দিকে হাত বাড়িয়েছেন কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আ স ম কামরুল ইসলাম। তার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগে মধ্যপ্রচ্যে থাকা প্রবাসীদের অর্থায়নে গেল এক সপ্তাহে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার ত্রাণ বিতরণ করা হয় কুলাউড়া উপজেলার বন্যায় আক্রান্ত দুঃস্থদের মাঝে।
মধ্যপ্রাচ্য কুলাউড়া সমিতি দুবাই উত্তর আমিরাত, কাতারস্থ কুলাউড়া প্রবাসীসহ বৃত্তমান প্রবাসীদের অর্থায়নে কুরাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম স্ব-স্ব ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এসব ত্রাণ বিতরণ করেন। প্রবাসীদের অর্থায়নে চিনি, ময়দা, আলো, তেল, পিয়াজ, সেমাই পেকেটজাত করে ঘরে-ঘরে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন চেয়ারম্যান নিজেই। চেয়ারম্যানের হাতে এইটুকু ত্রাণ পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে পানিবন্দি মানুষগুলো।
অন্যদিকে কুলাউড়া শহরের সাথে সব রকমরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পৌর এলাকার। নিত্য-প্রয়োজনীয় কোনোকিছুই ক্রয় করতে পারছেন না তারা।
সরজমিন পৌর এলাকার বিহালা, সোনাপুর, সাদেকপুর, দেখিয়ারপুর, উপজেলা পরিষদ এলাকা, জয়পাশার নিম্নাংশ, মাগুরার ঘরে দেখা যায় চরম দুভোর্গে জীবন যাপন করছে এসব এলাকার বাসিন্দারা। সিংহভাগ ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে অন্যত্র। ইতি মধ্যে সাদেকপুরে পানি বন্দি প্রায় ২৫ টি পরিবার আবাসস্থল ত্যাগ করেছে।
সাদেক পুরের বাসিন্দা মো. দেলু মিয়া বলেন, আমাদের পরিবারের ১৩ জন সদস্য অন্যেয় বাসায় আশ্রয় নিয়েছি। বন্যার পনি টয়লেটে প্রবেশ করে উপচে নোংরা পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এমন আরও ১৫টি পরিবার বাসা-বাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ঘরের ভিতর প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।