মো: আকরাম খাঁন:বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে নির্মান কাজ করায় কালীগঞ্জে ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের নির্মান কাজ বন্ধ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান সরেজমিনে কাজটির অনিয়ম দেখে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্জিনিয়ার ও ঠিকাদারের লোকজনকে ডেকে কাজ বন্ধ রাখার নির্দ্দেশ দেন। তবে ঠিকাদারের লোকজন বলছে, অনিয়ম নয়, তারা ভুল করেই বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে কাজ করছিল।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছাদেকুর রহমান জানান, ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলা অভ্যান্তরে পরিষদের নতুন ভবন নির্মানের জন্য কাজ চলছে। সেখানে কনফারেন্স রুম ভবনের নির্মান কাজে বারান্দায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করছে বলে অভিযোগ পায়। সোমবার সকালে তিনি সরেজমিনে কাজটির অনিয়ম দেখে উপজেলার দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী ইন্জিনিয়ার সুজিত কুমার ও ঠিকাদারের লোকজনকে তার দপ্তরে ডেকে আনেন। তিনি ঠিকাদারের লোকজনকে মাটি না সরানো পর্ষন্ত কাজটি বন্ধ রাখতে নির্দ্দেশ দেন। এবং কাজের এস্টিমেটে নকশা অনুয়ায়ী বালির পরিবর্তে কেন মাটি দেওয়া হচ্ছে তার জবাব সহ অন্নান্য ব্যবহৃত সামগ্রী বুঝে নিতে ইন্জিনিয়ার অফিসকে দ্বায়িত্ব দেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা ইন্জিনিয়ার অফিসের সহকারী ইন্জিনিয়ার সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, যশোরের মইন উদ্দিন বাশি নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান অত্র পরিষদের নতুন ভবন নির্মানের টেন্ডারটি পেয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, পরিষদের কনফারেন্স রুম ভবনের কাজে মেঝেতে সাড়ে ৩ ফিট বালি দিয়ে তার উপর ঢালায় দেবার কথা। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন বালির পরিবর্তে মাটি দিয়ে ভরাট করছিল। এমন অনিয়ম দেখে প্রথম দিনেই তিনি মাটি না ফেলার কথা বলেন। কিন্তু ঠিকাদারের লোকজন নানা তালবাহানা ও কারসাজি করে মাটি ফেলার চেষ্টা করছিল। এমন খবর পেয়েই টিএনও মহোদয় তাকে ডেকে পরামর্শ করে ঠিকাদারকে মাটি তুলে নেবার নিদ্দেশ দিয়েছেন।
কাজের অনিয়মের খবর সংগ্রহে সরেজমিনে উপজেলা অভ্যান্তরে গেলে ভবনের মেঝেতে বালির পরিবর্তে মাটি ফেলার সত্যতা মিললেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে খুজে পাওয়া যায়নি। সেখানে কর্মরত ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, মাটি কেন ফেলছে তা তারা জানেনা। আর কিভাবে কাজ করতে হবে তা ঠিকাদারই জানেন। তবে মেঝেতে মাটি ফেলা মনে হয় ভুলই হয়ে গেছে বলে জানায় তারা।
এদিকে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের মতামত নেবার জন্য যোগাযোগ বা তার মোবাইল নাম্বারটি কেউ দিতে না পারলেও এ কাজের সার্বিক দ্বায়িত্বে মধু নামের এক ঠিকাদার আছেন বলে জানিয়েছেন অনেকেই।