কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলায় সাদেকপুর ইউনিয়নে বড় রাজাকাটা গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে এ অমানবিক ঘটনাটি ঘটে প্রতিপক্ষের হামলায় এসএসসি পরীক্ষার্থী আমানউল্লাহ গুরুতর আহত হয়, বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। চলমান এসএসসি পরীক্ষায় আট বিষয়ে অংশগ্রহণ করলেও বাকী দুটি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পাড়ায় তাঁর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত আমানউল্লাহর পিতার নাম মুসলিম মিয়া। এঘটনায় ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সরেজমিনে বড় রাজাকাটা গ্রামে গিয়ে আমানউল্লার পরিবারের সাথে কথা বলে জানাযায়, ফসলি জমিতে সেচ দেয়াকে কেন্দ্র করে রাজাকাটা গ্রামের একই বংশের আস্কর মিয়ার বাড়ির লোকজনের মধ্যে ১৬ ফেব্রুয়ারি কথা কাটাকাটি ঘটনার সূত্রধরে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আবারো আমানউল্লার সঙ্গে প্রতিপক্ষের শাহবুদ্দিন মেম্বারের বাবুলের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের শাহবুদ্দিন মেম্বারের লোকজন লাঠিসোঠা ও দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে
৮টি ঘরের টিনের বেড়া ভাংচুরসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় আমানউল্লাহ (১৭) ও মজিবুর রহমান (৫৫) মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আমানউল্লাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। এসময় ফাইজুন্নেছা (৪২), হাবিবুর রহমান (৪১), শাহজাহান (৪৫), নাঈম (১৬) আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
এঘটনায় বাবুলের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনাটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন আমানউল্লাহ মানসিক রোগী। বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকায় সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তাদের পক্ষেরও কয়েকজন আহত হয় বলে দাবি করলেও প্রতিপক্ষের ঘর বাড়ি ভাংচুরের কথা অস্বীকার করেছেন।
ভৈরব থানার উপরিদর্শক মুতিউজ্জামান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। অভিযোগ পেয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার পক্রিয়া চলছে ।