-নুমেরী সংগ্রাম_স্বদেশনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
মা আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) হতে বর্ণিত, নবীজি (দরুদ) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন। (শুআবুল ইমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৮২)।
হজরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (দরুদ) এ রাতে মদিনার কবরস্থান ‘জান্নাতুল বাকি’তে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইস্তিগফার করতেন।
তিনি আরও বলেন, নবীজি (দরুদ) তাঁকে বলেছেন, এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়েও বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।
–(তিরমিজি শরিফ, হাদিস: ৭৩৯)।
“যে ব্যক্তি শা’বান মাসে ৩টি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাতী উটে আরোহণ করিয়ে কবর হতে উঠাবেন।” (ইবনু নুবাতাহ)
হযরত ইমরান ইবনু হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, সাইয়্যদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি এ মাসের (শা’বান মাসের ১৫ তারিখ) মধ্যভাগে রোযা পালন করেছিলেন? তিনি বললেন, না। তখন সাইয়্যদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনি তার বদলে রমাদ্বান মাসের রোযা শেষ করে দুই দিন রোযা পালন করবেন।” (মুসলিম শরীফ: কিতাবুস ছাওম- বাবু ছাওমি শাহরী শা’বান- হাদীস নম্বর ২৬২৩)
উক্ত হাদিস গুলো থেকে বুঝায় যাচ্ছে শবে বরাতের কত ফজিলত। (সুবহান আল্লাহ)
সবাই আগামীকাল মঙ্গলবার,বুধবার,বৃহস্পতিবার তিনটা রোযা রাখবো ইনশাআল্লাহ।
কেননা এই রোযা না রাখলে রমজানের পর আবার ২ টা রোযা রেখে কাফফারা আদায় করতে হবে।
শবে বরাতের রাতটি খুবই ফজিলত পূর্ণ।
তাই সবাই বেশি বেশি নফল ইবাদত, জিকির,দরুদ পড়ার চেষ্টা করবেন। সালাতুল তাসবিহ নামাজ পড়ারও চেষ্টা করবেন
এই রাতে কবর জিয়ারত করা সুন্নাত।তাই সবাই নিজ নিজ এলাকার কবরস্থান জিয়ারত এবং সবার জন্য দু’আ করবো।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুক। আমিন।
সবাই সবার জন্য দু’আ করবেন। এবং শেয়ার করে অন্যকে জানাতে চেষ্টা করি। যাতে সবাই রোযা গুলো রাখতে এবং ইবাদত করতে পারি।