ঝালকাঠির হাইলাকাঠীতে এখন শীতলপাটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দেশে-বিদেশে শীতলপাটির চাহিদা থাকলেও ন্যায্যমূল্য এবং সঠিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এখনও আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখেননি তারা।
ঝালকাঠির রাজাপুরের হাইলাকাঠী গ্রামের ঘরে ঘরেই দেখা যায় পাটি তৈরির দৃশ্য। ‘পাইত্রা’ নামের তৃণ উদ্ভিদ দিয়ে নারী পুরুষ সবাই ব্যস্ত বাহারি সব নকশার শীতলপাটি বুনতে। গ্রামের ১৯৫টি পরিবার এখনও বংশ পরম্পরায় ঐহিত্যবাহী পাটিশিল্পের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু দেশের গ-ি পেরিয়ে চড়া দামে বিদেশে রপ্তানি হলেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ায় অনেকটাই ভাগ্য বিড়ম্বিত এখানকার কারিগররা।
এখানকার এক কারিগর জানান, ‘পাটির চাহিদা ভাল থাকলেও ন্যায্য মূল্য আমরা পাই না। আর গ্রীষ্মকালে পাটির চাহিদা ভাল থাকলেও অন্যান্য মৌসুমে এর চাহিদা কমে যায়। এই কারণে অনেকেই এখন এ পেশায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে।’
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উন্নয়নে খুব শিগগিরই বিসিকের সহায়তায় দেশের ২১টি জেলায় ঋণ সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঝালকাঠির নাম সে তালিকায় থাকলেও এ শিল্পের উন্নয়নে এককালীন অনুদানের প্রয়োজন বলে মনে করে বিসিক।
ঝালকাঠি বিসিকের শিল্প সহায়ক কেন্দ্রের উপ-ব্যবস্থাপক জানান, ‘যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় এ এলাকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পীদের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে তারপরও আমি মনে করি এখানকার শিল্প বাচাতে হলে এককালীন ঋণ বা অনুদানের প্রয়োজন আছে।’
শীতল পাটির কাঁচামাল সংগ্রহে হাইলাকাঠী গ্রামের লোকজন নিজেদের জমিতেই পাইত্রা চাষ করেন। বছরের ৬ মাস তারা পাটি বুনেন। সময় টিভি