ইয়াবা ব্যবসায়ীরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মুখে পাচারের কৌশল পাল্টেছে। কেবল পরিবহন পদ্ধতি নয়, ঘন ঘন পাল্টে যাচ্ছে ইয়াবা পাচারের রুটও। কখনো সমতল, কখনো পাহাড় আবার কখনো সমুদ্রকেই রুট হিসেবে বেছে নিচ্ছে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। কোনো একটি কৌশল প্রকাশ হয়ে পড়ার পর খুব দ্রুতই অন্য কোনো অভিনব কৌশলে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছে বলে প্রমাণ মিলছে।
বর্তমানে টেকনাফ-উখিয়া সীমান্তপথে কড়া নজরদারির কারণে ইয়াবার চালান আসছে সমুদ্র ও বান্দরবানের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। এরই মধ্যে সমুদ্রে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনীর। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবির হাতে ধরা পড়েছে ইয়াবার বড় দুটি চালান।yaba_03
নারীদের যৌনাঙ্গ, মাছ, গাছের খোড়ল, পুরুষের পায়ুপথ, চানাচুরের প্যাকেট, আসবাবপত্রের জয়েন্ট, মোটরসাইকেল, গাড়ির বিভিন্ন অংশ, এলপি গ্যাস সিলিন্ডার, সুপারি, ক্যামেরা, মোবাইল সেট, কুরিয়ার সার্ভিস, নারীদের শরীরের বিভিন্ন অংশসহ বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইয়াবা বহন করছে পাচারকারীরা।
কক্সবাজার বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খন্দকার ফরিদ হাসান এ বিষয়ে বলেন, ইয়াবা একটি ছোট ও দামী বস্তু। আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এক কেজি পরিমাণ একটি প্যাকেটে ১০ হাজার পিস ইয়াবা ধরে। তাই যেকোন ভাবেই মানুষ এটা বহন করতে পারে। টেকনাফের ৪২ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মো. আবুজার আল জাহিদ ইয়াবা পাচারের কৌশল সম্পর্কে বলেন, দরিদ্র রোহিঙ্গাদেরই ইয়াবা বহনকারী হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা।
তারা সাধারণত অল্প টাকার লোভে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ইয়াবা বহন করে। তিনি বলেন, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপে এবং ইয়াবার বিরুদ্ধে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চলায় পাচারকারীরা সমুদ্রকে নিরাপদ রুট হিসেবে বেছে নিয়েছে। yaba_01
সমুদ্রপথে নজরদারি করা অনেক সময়ই সম্ভব না হওয়ায় পাচারকারীরা ট্রলারে করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে যায়।তিনি জানান, এছাড়াও বান্দরবানের সীমান্তে ও বর্তমানে ইয়াবা পাচার হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে বিজিবি দু’টি বড় চালান আটক করেছে।বিডি