পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় পাঁচ পর্যটককে মারধর করে সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা।এ ঘটনার পরপরই পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ প্রতিবেদন তৈরি পর্যন্ত আসামিদের গ্রেফতার কিংবা নগদ টাকাসহ লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় লোকজন ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে মেয়েটি তার চার বন্ধু ইব্রাহিম, মিজানুর, লিজা ও নাজমাকে নিয়ে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে ট্রলারযোগে ফাতরার বন ঘুরে মহীপুর মৎস্যবন্দরের খালগোড়ায় এসে পৌছান । এ সময় মহীপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আবদুল মালেক আকনের ছেলে সোহাগ আকন ও ভাগ্নে মামুনের নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী তাদের আটক করে। আটকদের কাছে তারা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে সন্ত্রাসী সোহাগ ও মামুন তাদের টেনেহিঁচড়ে ট্রলার থেকে নামিয়ে শ্লীলতাহানি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে।
সন্ত্রাসীরা তাদের হাত-পা বেঁধে লোহার পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত করে। এ সময় তাদের বন্ধু ইব্রাহিম ও মিজানুর প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে মিজানুরের বাঁ পা ভেঙে দেয়। তাদের সবাইকে রশি দিয়ে বেঁধে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল সেট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মেয়েটির অপর দুই বান্ধবীকে ধস্তাধস্তি করে জঙ্গলের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করলে আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মহীপুর ফাঁড়ির পুলিশের সহায়তায় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরণ করেন।
ওই সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে তাদের হাত-পা বেঁধে অমানবিক নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির ভিডিও চিত্র ধারণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্লীলতাহানির শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সোহাগ আকন, ফজলু, মামুনসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে কলাপাড়া থানায় একটি মামলা করেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, মামলার পর পটুয়াখালী ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আহত পর্যটকদের পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ভিডিওচিত্র ধারণের তথ্য তিনি জেনেছেন বলে জানান।
By- SUHEL KHAN