ফেসবুকে শেয়ার কৃত সংবাদে লাইক দেওয়ার অভিযোগে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল কমিটির সহ-সভাপতি জিয়াউল হুদাকে পেটাল ক্যাম্পাসের নতুন নেতারা। শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে শাখা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি থেকে ছয় নেতাকে অব্যাহতির প্রতিবেদনে গত বৃহস্পতিবার লাইক দেওয়ায় ওই নেতাকে মারধর করা হয়। তবে ওই নেতা ছাত্রদল ও শিবিরের অনুচর হওয়ায় তাকে হালকা শাসন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মারধরকারী নতুন নেতারা।
ভুক্তভোগী জিয়াউল হুদা জানান, তিনি ছাত্রলীগের সোহরাওয়ার্দী হল ইউনিটের সহ-সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ময়মনসিংহ শহরে যাওয়ার উদ্দেশে ক্যাম্পাসের জব্বার মোড়ে আসেন। জব্বার মোড়ের একটি দোকান থেকে তাকে ডেকে পাঠান ছাত্রলীগের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির যুগ্মসম্পাদক মনিরুল হাসান পলাশ। সেখানে গেলে পলাশ আমাকে বলে যে, ফেসবুকে
শেয়ারকৃত শৃংঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে শাখা ছাত্রলীগের নবগঠিত কমিটি থেকে ছয় নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার সংবাদে আমি কেন লাইক দিয়েছি। আমি কিছু বলার আগে পলাশ ও ক্যাম্পাসের নতুন নেতা সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান হৃদয়, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমেদ মিলে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দিতে থাকে।
তবে পলাশ ও নাজমুল জিয়াউলকে পেটানোর ঘটনা অস্বীকার করলেও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জিয়াউল ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে নানান কথা বলায় এমনটা করা হয়েছে। অপরদিকে ওবায়দুল ইসলাম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, সম্প্রতি সময়ে জিয়াউল ছাত্রদল ও শিবিরের অনুচর হিসেবে কাজ করায় তাকে এমনটি করা হয়েছে। তবে মারধরকারী নতুন ওই নেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে ভুক্তভোগী জিয়াউল বলেন, আমি ছাত্রলীগের পদধারী। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাঁরা এমনটা বলছে। জিয়াউল হুদা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের এমএস শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়াহাব রিন্টু বলেন, আমি গতকাল ক্যাম্পাসের বাইরে ছিলাম। পরে বিষয়টি জানতে পারি। দুই পক্ষের কথা শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।