কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ কিশোরগঞ্জে প্রজনন স্বা¯’্যসেবার বেহাল অব¯’া চলছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুষ্ঠু চিকিৎসা ব্যব¯’া না থাকায় প্রজনন স্বা¯’্যসেবা ব্যাহত হ”েছ। ফলে প্রজনন স্বা¯’্য বিষয়ক চিকিৎসা না পেয়ে রোগীরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হ”েছন। প্রজনন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি মাসে একাধিক রোগীর মৃত্যু হ”েছ বলেও স্বা¯’্য বিভাগের একাধিক সূত্র জানায়। এই সেবা গুর“ত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলেও জেলা ও উপজেলা স্বা¯’্য কমপেল্গক্সগুলোতে প্রজনন চিকিৎসার আলাদা বিভাগ না থাকায় অসংখ্য রোগী গ্রাম্য চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হয়ে অপচিকিৎসার শিকার হ”েছন। তাই উপজেলা ও জেলাগুলোতে প্রজনন স্বা¯’্যসেবার জন্য আলাদা বিভাগ চালু করা একান্ত জর“রি বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা অভিমত প্রকাশ করেছেন।কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় ও মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, প্রজনন স্বা¯’্যবিষয়ক রোগী সংখ্যার সঠিক সংখ্যা তাদের কাছে নেই। তবে সারা জেলায় প্রজনন রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। অজ্ঞতা, কুসংস্কার, লজ্জা ও ভয়ের কারণে রোগীরা সাধারণত চিকিৎসকদের কাছে আসেন না। রোগের মাত্রা সহ্যের বাইরে চলে গেলে তারা হাসপাতাল এবং মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। তখন কোনো কোনো রোগীর ক্ষেত্রে রোগটি চিকিৎসার বাইরে চলে যায়। ২৫০ শয্যার জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী জানান, গড়ে প্রতিদিন ৫০ জন প্রজনন স্বা¯’্য বিষয়ক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তাদের অধিকাংশ পুর“ষ। নারী রোগীরা লজ্জায় চিকিৎসকদের সব কথা বলতে পারেন না। তাছাড়া হাসপাতালে প্রজনন চিকিৎসার আলাদা বিভাগ না থাকায় সাধারণ চিকিৎসকরা ওই সব রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে দেন। তিনি মনে করেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে প্রজনন স্বা¯’্যবিষয়ক আলাদা বিভাগ ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হোসনা বেগম জানান, প্রতি মাসে গড়ে প্রজনন স্বা¯’্য বিষয়ক ১৫ জন রোগী কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসেন। অথচ সারা জেলায় রোগীর সংখ্যা কয়েক হাজার হবে বলে তার ধারণা। তিনি জানান, আঁচিল, হার্পিস সংক্রমণ, গনোরিয়া, ছত্রাকজনিত সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা বেশি। ১৩টি উপজেলা স্বা¯’্য কমপেল্গক্সের একই অব¯’া বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক হাসপাতালের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক কুমার সূত্রধর বলেন, দেহের যেসব অঙ্গ প্রজনন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে তাদের প্রজনন স্বা¯’্য বলে। হাসপাতালে এ ধরনের অসংখ্য রোগী আসেন। কিš‘ অধিকাংশ রোগী অজ্ঞতার কারণে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যান। বিশেষ করে নারী রোগীরা লজ্জা, ভয় ও সংকোচের কারণে প্রকৃত রোগটি চিকিৎসককে জানাতে পারেন না।