প্
কটিয়াদী, কিশোরগঞ্জ থেকে সুবল চন্দ্র দাস ঃ মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে চারদিকে উড়ছে মৌমাছি। বন-জঙ্গল বা নির্জন কোনো এলাকা নয়, কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানা প্রাঙ্গণেই বসেছে মৌমাছির মেলা, যেন তাদের অভয়াশ্রম। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গুঞ্জরণে মুখরিত থাকে পুরো থানাচত্বর। একটি-দুটি নয়, এখানে ৩৮টি চাক গড়ে তুলেছে মৌমাছিরা। ¯’ানীয়রা জানান, অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝি সময়ে তাড়াইল থানার ৪ শতাংশ ভূমিতে অ¯’ায়ী আবাস গড়ে তোলে মৌমাছিরা। প্রতিদিন উৎসুক জনতা ভিড় করছেন দৃষ্টিনন্দন এসব মৌচাক দেখতে। থানা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই দেখা যায়, ভবনের দক্ষিণ দিকের কার্নিশে বেশ কয়েকটি মৌচাক। বাগানের আমগাছসহ ভবনের প্রায় সব কার্নিশ ছেয়ে গেছে মৌমাছির চাকে। পশ্চিম দিকের পুকুরপাড়ের আমগাছও মৌমাছিদের দখলে। থানার অদূরে পূর্ব প্রান্তের বিস্তীর্ণ মাঠে এবার সরিষার চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে ভালো। এলাকাবাসীর ধারণা, সরিষা ক্ষেত থেকে মধু আহরণ করতে এসে থানা ভবনকে নিরাপদ ভেবে মৌচাক গড়ে তোলার জন্য বেছে নিয়েছে মৌমাছিরা। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাহেদ মিয়া জানালেন, পুরো থানাই এখন মৌমাছিদের দখলে। মধু সংগ্রহকারী ও বিক্রেতা উপজেলার বেলঙ্কা গ্রামের মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৩) জানান, তিনি তাড়াইলসহ বিভিন্ন উপজেলায় মৌমাছির চাক ভেঙে মধু সংগ্রহ করেন। তবে এক জায়গায় একসঙ্গে ৩৮টি মৌচাক তিনি জীবনে কখনও দেখেননি। তাড়াইল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বেহেশতের পানীয় মধু। মধুতে বিভিন্ন ঔষধি গুণও রয়েছে। মৌমাছিরা থানা প্রাঙ্গণকে নিরাপদ মনে করায় ৩৮টি চাক গড়ে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, মৌমাছিদের নির্বিঘেœ চলাচলের বিষয়টি খেয়াল রাখার জন্য থানায় কর্মরত সবাইকে বলা হয়েছে। তাড়াইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. দুলাল হোসেন বলেন, সরিষাগাছ থেকে মৌমাছিরা প্রচুর মধু আহরণ করে। এবার তাড়াইলে সরিষার ভালো আবাদ হওয়ায় মৌমাছিদের আগমন বেড়েছে।