রিকশাচালক জাকির হোসেন
প্রতিদিন সাতসকালে মিরপুর
থেকে যাত্রী নিয়ে ফার্মগেট
পর্যন্ত যান। ভাড়া ১৩০ টাকা। অনেক
সময় ১৫০ টাকা পর্যন্ত
ভাড়া নিয়ে থাকেন তিনি।
অবরোধের আগে ১০০ টাকায় এই
পথে আসা-যাওয়া করতেন জাকির।
অবরোধ থাকায় তাঁর আয় রোজগার
বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার হরতালের দিন
যাত্রী মিলেছে কি না-জিজ্ঞেস
করতেই ২৫ বছরের যুবক জাকির বলেন,
‘হরতালও যা, অবরোধও হেইরাম।
ফারাক নাই।’ তাঁর কাছে হরতাল-
অবরোধে কোনো তফাৎ নেই। শুধু
রিকশাচালক জাকির নন, হরতাল-
অবরোধ নিয়ে কম বেশি সবাই
একইভাবে ভাবেন। আতঙ্ক থাকলেও
জীবনের প্রয়োজনে বের হতে হয়
সবাইকে।
সরেজমিনে দেখা গেছে,
সকালে কর্মব্যস্ত মানুষ ছুটে চলেছে।
একই সঙ্গে বাসসহ গণপরিবহনগুলোর
আসা-যাওয়া চলছে। সকাল সকাল অবশ্য
ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা কম ছিল।
তবে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে যাওয়ার
সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল
বেড়ে যায়। ঝাঁপি উঠিয়ে পণ্যের
পসরা নিয়ে বসে পড়েন দোকানিরা।
শহরের একপ্রান্ত থেকে অন্য
প্রান্তে চলাচলে বাস-রিকশার
চাকা ঘুরলেও, দূরযাত্রায় বাসের
চাকা থমকে ছিল। গাবতলী,
সায়েদাবাদ ও
মহাখালী টার্মিনাল থেকে বাস
ঢাকা ছাড়ছে না। তবে ট্রেন চলছে।
অবশ্য সময়মতো বেশির ভাগ ট্রেন
ঢাকায় আসেনি। যাত্রীদের
ট্রেনের জন্য করতে হয়েছে দীর্ঘ
অপেক্ষা।
হরতাল-অবরোধকারীদের
দেখা মেলেনি রাজপথে।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ-
র্যাবের অবস্থান ছিল। রাজধানীর
এলিফ্যান্ট রোডে সকাল আটটার
দিকে ছাত্রদলের ব্যানারে ১০-১২
জনের ঝটিকা মিছিল বের
হতে দেখা যায়। মিছিল
থেকে পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ
ঘটে। পুলিশের ধাওয়ায়
মিছিলকারীরা সঙ্গে সঙ্গে পালিয়
এতে কেউ আহত বা আটক
হয়নি বলে জানান নিউমার্কেট
থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম।
একই সময় মিরপুর টেকনিক্যাল
মোড়ে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
অবরোধের মতো হরতালের দিনও আজ
একই রকম
নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখা হয়েছে বি
খালেদা জিয়ার গুলশান
কার্যালয়ের সামনে। মূল ফটকের
সামনে প্রতিদিনের
মতো একপাশে পুলিশের দুটি ট্রাক
এবং অন্যপাশে জলকামান
দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড
দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সদস্যরাও
সেখানে আগের মতো অবস্থান
করছেন।