মোঃ খলিলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পৈলনপুর ও কৈলাগ গ্রামবাসীদের মধ্যে একটি তু”ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে ১১ পুলিশসহ অর্ধশত লোক আহত হয়। এই ঘটনার জেরে, কৈলাগ গ্রামের ফেনু মিয়া (৫০) হ্নদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে নাকি কোন আঘাতপাপ্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে এ নিয়ে গত ৪ দিন ধরে দুই এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার রাতে মৃত ফেনু মিয়ার ছেলে অন্তর মিয়া বাদী হয়ে বাজিতপুর পৌর মেয়র এহেসান কুফিয়া কে প্রধান আসামি করে পৌরসভার কাউন্সিলর রিপন মিয়া, বা”চু মিয়া, পেনেল মেয়র হার“নর রশিদ সহ ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরো অজ্ঞাত ৪০০ জনের বির“দ্ধে বাজিতপুর থানায় মামলা র“জু করেন। জানাযায়, গত ৩ ফেব্র“য়ারী দুপুর থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত কৈলাগ ও পৈলনপুর গ্রামবাসীদের মধ্যে সংর্ঘষ বেধে যায়। তখন উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০ দোকান ভাংচুর ও লুটপাট হয়। পুলিশ সহিংসতা নিরসনের লক্ষে ঐদিন সন্ধায় পৈলনপুর, মথুরাপুর ও কৈলাগের ১৪৪ ধারা জারি করলে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। বাজিতপুর বাসীর অভিযোগ পৌর মেয়র এহেসান কুফিয়াকে ফেনু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি করায় এলাকাবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পৌর মেয়র গতকাল শুক্রবার বিকালে সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি পৈলনপুর ও কৈলাগ গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যপক সহিংসতার খবর পেয়ে বাজিতপুর বাজার বাশঁমহলে ঘটনা ¯’লে যাই। তিনি বলেন, বাজিতপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা ও লুটপাটের ঘটনা যাতে না হয় সেজন্য তিনি উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অব¯’ায় থাকার জন্য প্রচেষ্টা চালান। তিনি আরো বলেন, আমাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ একটি প্রভাবশালী মহল বাদীকে প্রভাবিত করে আমার বির“দ্ধে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।