আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধা জেলা শহরের বিটিসিএলের ডিজিটাল এক্সচেঞ্জটি কম্পিউটারের হার্ডডিক্স পুন:রায় গত ১৯ ফেব্র“য়ারি থেকে তৃতীয় দফায় পুনরায় অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে এই এক্সচেঞ্জের আওতাধীন জেলার ১ হাজার ৪শ’ ২৫টি ল্যান্ডফোন বন্ধ হয়ে গেছে। এতে গ্রাহকরা চরম বিপাকে পড়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস থেকে শুর“ করে জর“রী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সকলের ফোন, ফ্যাক্স ও ই-মেইল কার্যক্রম ব্যাহত হ”েছ। কবে নাগাদ একচেঞ্জ ঠিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ।
গাইবান্ধা বিটিসিএল কার্যালয় সুত্র জানায়, ২০০২ সালের ৫ অক্টোবর ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি উদ্বোধন করা হয়। এই এক্সচেঞ্জের ক্ষমতা ১ হাজার ৮শ’টি। তবে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ জানান, গত ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কম্পিউটারের হার্ডডিক্স বিকল হয়ে গেলে টেলিফোন যোগাযোগ বি”িছন্ন হয়ে পড়ে। পরে ঢাকা থেকে টেলিফোন ইঞ্জিনিয়াররা এসে নতুন হার্ডডিক্স লাগিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর এক্সচেঞ্জটি ৭ দিন পর পুন:রায় চালু করতে সক্ষম হয়। কিš‘ এক সপ্তাহ চলারপর ২২ সেপ্টেম্বর নতুন লাগানো হার্ডডিক্সটিও বিকল হয়ে পড়ে। পরে ২২ দিন পর দেশের অন্য একটি এক্সচেঞ্জের পুরাতন হার্ডডিক্স দিয়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি পুনরায় চালু করা হলেও তৃতীয় দফায় আবার তা অকেজো হয়ে যায়। এখন নতুন এই এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা চায়না কোম্পানী কর্তৃক তাদের দেশ থেকে আমদানিকৃত নতুন হার্ডডিক্স না লাগানো পর্যন্ত এই এক্সচেঞ্জের আওতাধীন টেলিফোনগুলো সচল হওয়ার আর কোন সম্ভাবনা নাই বলে তারা জানিয়েছেন।
উলে¬খ্য, গাইবান্ধা টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আওতায় উলে¬খিত টেলিফোন চালু থাকলেও এখন শুধু পৃথক পুরাতন জেটি এক্সচেঞ্জের আওতায় ৫শ’ টি টেলিফোনের মধ্যে ৩শ’ ৭৫টি টেলিফোন সচল রয়েছে। বাকি অন্য একচেঞ্জের আওতাধীন ১ হাজার ৪শ’ ২৫টি ল্যান্ডফোন এখন বন্ধ রয়েছে।