আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মজুরী বৈষম্যের স্বীকার হ”েছন-নারী শ্রমিকরা। জানা যায়, ক্ষেত-খামার ও গৃহ¯’ালীসহ বিভিন্ন ¯’ানে সম-শ্রম দিয়েও সম-মজুরী পা”েছন না নারী শ্রমিকরা। তারা পুর“ষ মজুরদের তুলনায় অনেকাংশে কম মজুরী পা”েছন। পুর“ষ মজুর সংকট দেখা দেয়ায় গৃহ¯’রা মহিলা মজুর দিয়ে ক্ষেত-খামারে কাজ করিয়ে নি”েছন। বোরো ধান ক্ষেত-খামারে আগাছা পরিষ্কার থেকে শুর“ করে গম ক্ষেত, ইট ভাটা, আলু ক্ষেত প্রভৃতি ¯’ান দখল করে নিয়েছে মহিলা শ্রমিকেরা। অভাবের তাড়নায় স্বামী পরিত্যাক্তাসহ বিভিন্ন বয়সের মহিলারা ক্ষেত খামারে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হ”েছন। এই সুযোগ বুঝে গৃহ¯’রা মহিলা শ্রমিকদের কম মজুরী দিয়ে বেশী কাজ করে নি”েছন। পুর“ষ শ্রমিকের চেয়ে মহিলা শ্রমিকরা কাজে মনোযোগী হওয়ায় এবং মজুরী কম হওয়ায় গৃহ¯’রা মহিলা শ্রমিকদের দিকে বেশি ঝুঁকে পড়ছেন। এদিকে একই সময় কাজ করে পুর“ষ শ্রমিকরা মজুরী পা”েছন ২’শ থেকে ২’শ ৫০ টাকা আর মহিলা শ্রমিকরা ঐ সময়ে বেশি কাজ করে ৮০ থেকে ১’শ টাকা মজুরী পা”েছন। স্বল্প মজুরী প্রদান করলেও মহিলা শ্রমিকরা মহাখুশি থাকছেন বলে তাদের কদর দিন দিন বাড়ছে। এভাবে ক্ষেত খামারগুলো পুর“ষ শ্রমিক শূন্য হয়ে পড়তে থাকায় পুর“ষরা শ্রম বিক্রির জন্য বিভিন্ন জেলায় চলে যা”েছন। অনেক বেশী কাজ করেও মজুরী বৈষ্যমের শিকার মহিলা শ্রমিকদের মধ্যে রোকেয়া (৬০), শাহানা (৬০), আজিভান (৩৬), ছালেহা (৩০), রাবেয়া (৭০) সহ অনেকে জানান-পেটের দায়ে কাজ করছি, মজুরী বেশী চাইলে কাজে নিতে চায় না। আবার একদিন কাজ না করলে সংসার অচল হয়ে পড়ে। তাই শত কষ্ট ও দুঃখ বুকে চেপে রেখে কম মজুরীতেই কাজ করছি। তারাপুরের গৃহ¯’ শহিদার, ইমদাদুল হক, কঞ্চিবাড়ির মতিন, আবুল কালামসহ অনেকে জানান-মহিলারা পুর“ষের তুলনায় অনেক বেশি কাজ করেও স্বল্প মজুরী পান এটি সত্যি, তবে সর্বত্রই মহিলাদের মজুরী ৮০ থেকে ১’শ টাকা রেট হয়ে দাড়িয়েছে। মজুরী বৈষম্যের শিকার মহিলা শ্রমিকদের আক্ষেপ ভরা সুর। তারা কোনদিনই কি শ্রমের ন্যায্য মুল্য পাবেন না।