বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন টি- টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানরা বাংলাদেশে এসে একটি টেস্ট খেলতে রাজি। দু’-এক মাসের মধ্যেই সেই সিরিজটি হতে পারে, সঙ্গে থাকতে পারে ওয়ানডেও। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে ভারতে গিয়ে প্রথম টেস্ট সিরিজ খেলার কথা। সেটি এই আগস্টেই। এখন পর্যন্ত এই টেস্ট সিরিজ নিয়ে মুখ খুলছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ ছাড়াও জানা গেছে, এফটিপি’র বাইরে আরও একটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে হতে পারে। আর এফটিপি অনুসারে এই বছরই নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি বেশ কিছুদিন থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এফটিপি’র বাইরে ক্রিকেট সিরিজ আয়োজনের। বিশেষ করে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বিকাপে বাংলাদেশের দারুণ পারফরমেন্সের পর থেকেই বিসিবি’র এই চেষ্টা আরও জোরালো হয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছি। ওরা একটি টেস্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা টেস্টের পাশাপাশি অন্য ফরম্যাটের ম্যাচও খেলতে চাই। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক টি-২০ ম্যাচ খেলেছি। এখন আমরা টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবো।’
আগস্টে ভারতের সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার প্রস্তাবও নাকি দিয়েছে বিসিবি। একটি টেস্টের বাইরে ওই সফরে ওয়ানডে খেলতে চায় বাংলাদেশ। বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘চাইলেই তো হুট করে সিরিজ আয়োজন করতে পারি না। অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়। আমরা যদি সিরিজটি আয়োজন করি তাহলে আইপিএল থেকে সাকিব ও মুস্তাফিজকে নিয়ে আসতে হবে। দ্বিতীয়ত- যদি আইপিএল’র পর আয়োজন করি তাহলে কবে ফাঁকা স্লট আছে সেটাও দেখতে হবে।’ তবে পাপন জানিয়েছেন বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে হোম সিরিজ ঠিক করা হবে।
অন্যদিকে ভারত সফর নিয়ে এখনও আঁধার কাটেনি। এই আগস্টে একটি টেস্ট খেলতে যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ দলের। কিন্তু ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে শোনা যায় সেই টেস্টের সঙ্গে দু’টি ওয়ানডে বা দু’টি টি-টায়েন্টিরও প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বিসিবি। এই বিষয়ে নাজমুল হাসান পাপন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এখনও আলোচনা চলছে ভারত ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদের সঙ্গে। কিন্তু অগ্রগতি নিয়ে কিছু বলেননি তিনি। তবে জানা যায়, এই টেস্ট সিরিজ হওয়ার কথা ছিল কলকাতার ইডেনে। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির কারণে বিকল্প ভেন্যু হিসেবে ধর্মশালাকে বেছে নেয়ার কথা বলা হয়। তবে সেখানেও তাপমাত্রা আরও কম হওয়াতে আসলে কোথায় টেস্টটি হবে নাকি হবে না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চিয়তা। তবে আশার কথা ভারতে যদি টেস্ট সিরিজটি শেষ পর্যন্ত না-ই হয় তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এলে টেস্ট খেলায় ফিরতে পারবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতবছর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ দল। এরপর আর কোনো টেস্ট খেলা হয়নি। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মিশনকে সামনে রেখে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে। এরপর বিপিএল ছাড়াও এশিয়া কাপও হয় টি-টোয়েন্টি ফরমেটে। অবশেষে ভারতে বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। গত ২৭ মার্চ ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে মাশরাফি বাহিনী। এর মধ্যে আর কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ না থাকায় এখন প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ খেলতে প্রস্তুত হচ্ছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।