চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকার একটি ইউনিয়নে ভোট চলার মধ্যে ছুরিকাঘাতে এক সদস্য প্রার্থী নিহত হয়েছেন।
শনিবার ৭১৭ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণের মধ্যে বড় উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর এলাকায় সংঘর্ষে ওই প্রার্থী নিহত হন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত মো. ইয়াছিন (৪০) ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন। তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সস্পৃক্ত কি না, তা জানা যায়নি।
বেলা সোয়া ১টার দিকে শাহ মিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ওই সংঘর্ষ বাঁধে বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) হারুনুর রশিদ হাজারী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ভোট কেন্দ্র থেকে দূরে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ইয়াছিন নিহত হন।”
ইয়াছিনের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে রয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, ইয়াছিনের পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে।
কেন্দ্রে মোতায়েন থাকলেও সংঘর্ষস্থল কিছুটা দূরে হওয়ায় সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্য ছিলেন না।
পুলিশ কর্মকর্তা হাজারী বলেন, কেন্দ্রের বাইরে এ ঘটনা ঘটার পরও সেখানে ভোট গ্রহণ চলছে।
ইউপি নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে ভোটগ্রহণের মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়াও নোয়াখালী, জামালপুর, মুন্সীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
নোয়াখালীর রাজগঞ্জে গোলযোগের মধ্যে পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন।