বেনাপোল প্রতিনিধি, স্বদেশ নিউজ২৪:
বিতর্কিত স্বর্ন পাচারের অভিযোগে বেনাপোাল চেকপোষ্ট কাষ্টমস থেকে বদলীকৃত সুপার উত্তম সমদ্দার বদলীর ৯ মাস পর আবারো চেকপোষ্ট কাষ্টমসে বদলী হয়ে বৈদীশিক মুদ্রা পাচার সহ তার বিরুদ্ধে অন্যান্য অনৈতিক কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। উত্তম সমদ্দর ভারত ফেরত যাত্রীর নিকট থেকে ১০০০ (এক হাজার ) মার্কিন ডলার নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর উক্ত যাত্রীকে কাষ্টমস গোয়েন্দার রাস্তায় তল্লাশি করে প্রায় বাংলাদেশী টাকার কোটি টাকা সমমুল্যর বৈদেশীক মুদ্রা জব্দ করেছে।

শুক্রবার বেলা ৮ টার সময় ভারত থেকে ফেরা ফরিদ হোসেন নামে একজন পাসপোর্টযাত্রীর নিকট থেকে বেনাপোল চেকপোষ্টে কাষ্টমস শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মত বৈদেশিক মুদ্রা আটক করেছে।

পাসপোর্টযাত্রী ফরিদ হোসাইন ঢাকার নবাগঞ্জ এলাকার রজব আলীর ছেলে। তার পাসপোর্ট নং বিজে- ০৬৮২৩৩২।
বেনাপোল চেকপোষ্ট কাষ্টমস শুল্ক বিভাগের গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর উম্মে সালমা ও সিপাই শাহ মোহাম্মাদ দিলদার হোসেন জানান, কাষ্টমস তল্লাশি কেন্দ্র পর হওয়ার পর আমারা উক্ত যাত্রীকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুনরায় তার ল্যাগেজ চেক করি। এক পর্যায়য়ে বিশেষ কায়াদায় লুকিয়ে রাখা তার ল্যাগেজের ভিতর অন্য একটি ব্যাগ কেটে মার্কিন ইউএস ৯৩ হাজার ৪ শত ৪৯ ডলার ভারতীয় ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০ রুপি কানাডিয়ান ৪ হাজার ৯শত ডলার ও মালায়েশিয়ার ২ টি রিংগিত পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশী টাকার প্রায় ৮৫ লাখ টাকার মত।
শুল্ক গোয়েন্দারা অভিযোগ করে বলেন আমরা উক্ত টাকা আটক করলে ও কাষ্টমস তাদের জোর করে বলছে তারা উদ্ধার করেছেন। তারা আরো জানায় আমরা আটক করে পাসপোর্টযাত্রী ফরিদ হোসেনকে কাষ্টমস রুমে আটক করে রাখলে তাকে পালাতে সাহয্য করে কাষ্টমস এর জনৈক কর্মকর্তা।
এ ঘটনা নিয়ে বেনাপোল কাষ্টমসে শুল্ক গোয়েন্দা ও কাষ্টমস কর্তৃপক্ষের ভিতর চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অপরদিকে কাষ্টমস এর যুগ্ম কমিশার মোস্তাফিজুর রহমান এর নিকট আটক ফরিদ হোসেনকে পালাতে সাহায্য করেছে কাষ্টটমস এর জনৈক কর্মকর্তা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমি পরে আপনাদের ব্রিফিং দিব। এর পর তিনি আর সাংবাদিকদের কোন ব্রিফিং দেন নাই।
বেনাপোল চেকপোষ্টের একটি বিশেষ সুত্র জানায় গত ৯ মাস পুর্বে সুপার উত্তম বেনাপোল চেকপোষ্টে দায়িত্বে থাকা কালিন কয়েকবার স্বর্ন পাচার হয়ে ভারত চেকপোষ্টে কাষ্টমস কর্র্তক আটক হলে উত্তম সমদ্দার এর নাম উঠে আসে। এ ঘটনায় তড়ি ঘড়ি উত্তমকে কর্তৃপক্ষ বদলী করে কাষ্টমস হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে যেয়ে সে উপরের অফিসারদের ঢাকায় যাওয়া বিমানের টিকিট সহ নানা প্রকার উঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করে চাকুরি করার এক পর্যায়ে তার দুর্নিতীর অভিযোগ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফলাও করে খবর প্রকাশ হয়। এর পর সে আবারো বেনাপোল চেকপোষ্টে বদলী হয়ে ডলার স্বর্ন সহ বিভিন্ন দ্রব্য পাচার করে বলে ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে।