জঙ্গি মোহাম্মদ মসিউদ্দিন মুসাকে বাংলাদেশে আনতে কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতে আসছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল৷ দিল্লিতে তাঁর সঙ্গে এনআইএ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক হবে৷ সেই বৈঠকে মুসার বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে৷ তার আগে মুসাকে লাগাতার জেরা করবেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা৷ ভারতের কোলকাতা নিউজ আজ এমনি একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আইএস জঙ্গি মুসার বিষয়ে তদন্তভার নিল এনআইএ৷ সিআইডির সঙ্গে বৈঠকের পর মুসার মামলায় তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় জাতীয় তদন্তকারীর হাতে৷
গুলশানের হলি আরটিজানে জঙ্গি হামলার পর বর্ধমান থেকে ধরা পড়েছে মুসা৷ তার সঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা৷ জানা গিয়েছে বাংলাদেশে আইএসের অন্যতম নেতা সুলেমানের সঙ্গে মুসার যোগ ছিল৷
আগামী ২৮ জুলাই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আইএস হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাস মোকাবিলায় পারস্পরিক সমন্বয়ের ইস্যুটি বৈঠকে প্রাধান্য পেতে চলেছে । রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের তরফে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের একটি তালিকা ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই জঙ্গিরা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসে ভারতে লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ বাংলাদেশের । আজ এমনি একটি সংবাদ ছেপেছে ভারতের দৈনিক বর্তমান পত্রিকা
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান রেলস্টেশন থেকে ৪ জুলাই মুসাকে ধারালো অস্ত্র কিনে নিজের গ্রামের বাড়ি লাভপুরে যাওয়ার সময় গোয়েন্দারা হাতেনাতে মুসাকে আটক করেন । তার কাছ থেকে ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি ছুরি, তিনটি গুলি ও একটি দেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপর মুসাকে জেরা করে পুলিশ আরও ১২ জন সন্দেহভাজনের নাম পায়। তাদের মধ্যে দুজনকে ৫ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের জন্য তারা চেষ্টা পুলিশ চালাচ্ছে ।
আইএস সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া মুসার বাড়ি বীরভূম জেলার লাভপুরের বিডিও পাড়ায়। আট বছর আগে তিনি পরিবার নিয়ে ভারতের চেন্নাইয়ের আন্দিপলামায় বসবাস শুরু করেন। সেখানে একটি মুদি দোকান খোলেন। পাশাপাশি জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
গ্রেপ্তার দেখানোর পরে মুসাকে সিআইডির সদর দপ্তর কলকাতার ভবানী ভবনে নেওয়া হয়। সেখানে সিআইডি, এনআইএ ও আইবির গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাকে জেরা করেন।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, গোয়েন্দারা মুসাকে জেরা করে জানতে পেরেছে, তার সঙ্গে আইএস’র যোগাযোগ রয়েছে। সিরিয়ার আইএসের শীর্ষ নেতা শফি আরমানের সঙ্গে তার নিয়মিত ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার ও ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল। যোগাযোগ ছিল বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গেও।
প্রসঙ্গত, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলো মুসার নাম। পরে ভারতের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার গোয়েন্দারা মুসাকে জেরা করে আইএসের সঙ্গে তার জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
– See more at: http://www.jamunanews24.com/bn/details.php?id=22698#sthash.7XbiBJiq.dpuf