গুলশানে হামলাকারী জঙ্গি নিবরাস ও শাওনের ঝিনাইদহের ভাড়া বাসায় প্রতিদিন ভোর ও গভীর রাতে একটি মোটরসাইকেল আসতো বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে নিবরাস ও আবিরকে শনাক্ত করে এলাকাবাসী।
তাদের দাবি, সাঈদ ও শাওন নামে তারা ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়েছিলো। এই দুজন উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত এমনটা ধারণাও ছিলো না তাদের।
যদিও থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরের এ তথ্য নেই পুলিশের কাছে। পুলিশ বলছে, এসব জঙ্গির ঝিনাইদহে বসবাসের তথ্য একেবারেই সঠিক নয়।
রাজধানীর গুলশান হত্যাকাণ্ডের দিন কয়েক পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার একটি বাড়ি। গণমাধ্যমের খবর এবং স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী এই বাড়িতে ভাড়া থাকতো গুলশান হামলায় অংশ নেয়া নিবরাস এবং শোলাকিয়া হামলায় অংশ নেয়া আবির।
সোনালীপাড়ার সেই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভেতর থেকে তালা ঝুলছে প্রধান ফটকে। কিছুক্ষণ পর দরজা খুললেও কথা বলতে রাজি হননি বাড়ির লোকজন।
তবে অনুসন্ধানে খোঁজ মেলে বাড়ির বাবুর্চি এবং বাসায় ডিশ সংযোগকারী ব্যক্তির। তাদের দাবি সাঈদ ও শাওন নামে নিজেদের পরিচয় দেয়া নিবরাস ও আবির দুর্ধর্ষ জঙ্গি জানতেন না তারা।
ক্যামেরার সামনে না আসার শর্তে এলাকার লোকজন জানান, প্রতিদিন ভোর এবং গভীর রাতে বাসায় আসতো একটি মোটর সাইকেল। বাইকে চড়ে বাইরে বের হয়ে ঘণ্টাখানেক পরেই ফেরত আসতো নিবরাস ও তার বন্ধুরা। ১ জুলাই মন্দিরের সেবায়েত শ্যামানন্দ মারা যাওয়ার পরের দিন নিবরাসরা বাসা ছাড়ে বলেও জানান তারা।
বাসার পাশেই রয়েছে বেশখানিকটা খোলা জায়গা। সেখানে এলাকার ছেলেদের সঙ্গে খেলায় অংশ নিতো আবির ও নিবরাস।
যদিও এলাকার লোকজনের ধারণা গত মাসে ঝিনাইদহে ঘটে যাওয়া চারটি গুপ্তহত্যার সঙ্গে এসব জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে। তবে পুলিশ বলছে, স্থানীয় অপরাধীরাই ঘটিয়েছে গুপ্তহত্যা। ঝিনাইদহে কোনো জঙ্গি আস্তানা ছিলো না বলেও দাবি পুলিশ সুপারের।
গুপ্তহত্যা, থানা থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে জঙ্গিদের অবস্থানের তথ্যসহ নানা কারণে ঝিনাইদহের মানুষ যখন বলছেন অজানা আতঙ্কের কথা তখন পুলিশ কর্মকর্তার দাবি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিকই আছে।