নিরাপত্তার শঙ্কা কাটিয়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসছে এটা আগেই নিশ্চিত হয়েছে। তবে টেস্ট দলের অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ও পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড বাংলাদেশে আসবেন না বলে একটা খবর ছিল। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য বাংলাদেশ সফরে না আসার খবর ছিল কুকের। কিন্তু সিদ্ধান্ত পাল্টালেন তিনি। বাংলাদেশ সফরে আসবেন কুক। এ ব্যাপারে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর অ্যান্ড্রু স্ট্রাউসকে তিনি কথা দিয়েছেন বলে জানালো বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। কুকের কোনো মন্তব্য ছাপেনি তারা। টেলিগ্রাফ মনে করছে, কুকের এই সিদ্ধান্ত দলের অন্য খেলোয়াড়দের ওপর প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে অনেকেই ভেতরে ভেতরে শঙ্কিত ছিলেন। কিন্তু অধিনায়ক কুকের কারণে তাদের সে শঙ্কা দূর হবে। এতে ইংল্যান্ড দল পূর্ণ শক্তি নিয়েই বাংলাদেশে আসতে পারবে। কুকের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ইংলিশ পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেটকে নিয়ে কিছুটা সংশয় থেকে যাচ্ছে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষকদের কথায় তিনি আস্থা রাখলেও আরো মানুষের সঙ্গে কথা বলে তিনি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হতে চান। তারপরই তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান। যদিও বাংলাদেশ সফরের এখনো দল ঘোষণা করেনি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড। আগামী সপ্তাহে ওয়ানডে দল ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।
ইংল্যান্ড ওয়ানডে দলের নিয়মিত বোলার লিয়াম প্লাঙ্কেট দলে থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফরে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আমাকে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’ ইসিবি’র নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকাসনের কথায় তার আস্থা আছে বলে দাবি করার পরও তার মনে বেশকিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বলে জানান। তিনি বলেন, সভায় কী হয়েছে তা কেবল সবাই হজম করার চেষ্টা করছে। আর যখন সিরিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয় তখন আমার মনে কিছু প্রশ্ন দেখা দেয়। হতে পারে আমাকে আরো কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে ডিকাসন যা বলেছেন তাতে কিন্তু আমার আস্থা রয়েছে।’ ইংল্যান্ড দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার জন্য ৩০শে সেপ্টেম্বর ঢাকা আসার কথা। ২০০১ সালে বাংলাদেশ সফর করা ইংল্যান্ড দলে থাকা প্লাঙ্কেট বলেন, আপনি কাগজ হাতে নিলেই দেখতে পাবেন পৃথিবীর সবখানেই সমস্যা রয়েছে। তো তারপরও আমি জানি না আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ভালো কোনো সমাধান বেরিয়ে আসতে পারে। আমি বাংলাদেশের পরিবেশ জানি এবং তারা কী চায় তাও জানি। আমি উপমহাদেশে অনেকবারই সফর করেছি তাই আমার বাড়তি কিছু প্রশ্ন আছে। এরপরেই আমি পরিস্থিতি বিচার করে সিদ্ধান্ত নেব।’ ওদিকে জস বাটলার বলেন, অনেক তথ্যই হজম করতে হচ্ছে। তবে অ্যালেক্স হেলস বলেন, অবস্থা বুঝে দলের স্থান ছেড়েও দিতে পারি। ‘ইংল্যান্ডের নিরাপত্তা দল বাংলাদেশ সফরে এলে আগেও ইংল্যান্ড দলকে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। গত বছর অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশ সফরে আসেনি, তাদের অনূর্ধ্ব ১৯ দলও বিশ্বকাপে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে। কিন্তু ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব ২৩ দল বিশ্বকাপে অংশ নেয়। সে সময় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।