রাজধানীর বেশিরভাগ বাসাবাড়িতে ওয়াসার সরবরাহ করা পানি খাবার অনুপযোগী। পানিতে ময়লা ও পোকামাকড় থাকার পরও জনসাধারণকে বাধ্য হয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে।
এসব পানি ব্যবহারে পানিবাহিত ও চর্মরোগে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু-কিশোর ও নারী-পুরুষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, ওয়াসার পাইপ বার বার কাটা-ছেঁড়া করায় এবং মেয়াদ শেষেও না বদলানোয় পানিতে ময়লা আসছে।
বলা হয়ে থাকে পানির অপর নাম জীবন। প্রতিদিনের রান্না, খাওয়া এবং গোসলসহ নিত্যকাজে পানির বিকল্প নেই। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, খিলগাঁও, পুরান ঢাকাসহ বেশকিছু এলাকার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ওয়াসার পানি লালচে, কালো, ময়লা-নোংরা। এরপরও, ব্যবহারের প্রয়োজনে বাধ্য হচ্ছেন এবং রোগাক্রান্ত হচ্ছেন।
বাসার পানি খাওয়ার উপযোগী নয়, তাই দাঁড়াতে হচ্ছে পানি সংগ্রহের লাইনে। লাইন দীর্ঘ হওয়ায় মাঝে মাঝে ঘটছে হাতাহাতির ঘটনা।
রাজধানীবাসীর প্রতিদিনের পানির চাহিদা ২২৫ থেকে ২৩০ কোটি লিটার। ওয়াসা বলছে, উৎপাদন তারও বেশি। তবে কেন পানির সংকট? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, কয়েকটি বাসায় পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা নাই। যখনই লাইনে পানি থাকে না তখনই চিৎকার শুরু করে।
মাটির নিচের পানির নির্ভরতা কমিয়ে নদী-জলাশয়সহ প্রাকৃতিক উৎস থেকে সংগ্রহেও কাজ করছে ওয়াসা।