বাণিজ্য ডেস্ক, স্বদেশ নিউজ২৪.কম : চলতি মৌসুমজুড়ে ইলিশের দাম প্রায় নাগালের মধ্যেই ছিল। আগামী বুধবার থেকে ইলিশ আহরণ বন্ধের সুবাদে আমদানি কমে যাওয়ার শঙ্কায় সপ্তাহের শুরুতেই কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। অন্যদিকে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের ঝাঁজ কমতে শুরু করেছে। তবে ভোজ্যপণ্যের মধ্যে সামান্য বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। এদিকে গত সপ্তাহে আগাম শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও চলতি তা সপ্তাহে তা স্থিতিশীল রয়েছে।
কারওয়ান বাজারের আদর্শ মত্স্য ভাণ্ডারের স্বত্ব্বাধিকারী শাহীন আলী জানান, ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময়ে ইলিশের বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময়ে নাকি মত্স্য আড়ত ও চেইনশপেও অভিযান চালানো হবে। তাই আগের চেয়ে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে। দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানালেন, খুচরা ক্রেতারা এখন বেশি করে ইলিশ কেনার চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়ার আশায় ইলিশ মজুদ শুরু করেছেন। চাহিদা বাড়ায় দামও বাড়ছে।
গতকাল রাজধানীর বনানী, গুলশান ২, কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর ও হাতিরপুলের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বড় আকারের এক জোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা থেকে আড়াই হাজারের মধ্যে। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ১২০০ থেকে দেড় হাজারের মধ্যে। মাঝারি সাইজের ইলিশ কেজিপ্রতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল গত সপ্তাহে। গতকাল বেড়ে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে।
তবে অন্যান্য মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম স্বাভাবিক আছে। গতকাল রুইমাছ বিক্রি হয়েছে কেজি ২০০ থেকে ২৮০ টাকায়, গরুর মাংস ৪১০ থেকে ৪২০, খাসির মাংস ৫০০ থেকে ৫৫০, মুরগি (ব্রয়লার) ১২০ থেকে ১৩০ ও দেশী মুরগি প্রতিটি ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায়।
ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম কম থাকায় আমদানি বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজিতে ৫ টাকা কমে ভারতীয় পেঁয়াজ ১৮ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশী পেঁয়াজের দামও কমেছে একই হারে। গতকাল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে দেশী পেঁয়াজ।
এদিকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটারে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে ভোজ্যতেল। গতকাল প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৮৪ থেকে ৮৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত শুক্রবারও এর দাম ছিল ৮২ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৭ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২ থেকে ৫ টাকা বেশি।
কাঁচাবাজারে ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়স, করলা, শসা, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাকরোল ও বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া টমেটো ও শিম ১০০ টাকা এবং কাঁচামরিচ ১২০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন সবজির আগাম সরবরাহ বাড়ায় দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।