জঙ্গিবাদ বৈশ্বিক সমস্যা। গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনায় বহির্বিশ্বে অাস্থার সংকটে ছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলও সফরে দোদুল্যমান ছিল। অামাদের নিরাপত্তায় অাস্থা রাখায় ইংল্যান্ডকে ধন্যবাদ। জয়ী হলো শেখ হাসিনার ক্রিকেট কুটনীতি। টাইগাররাও মান রেখেছে, প্রথম ম্যাচ হারলেও, ঘুরে দাঁড়ালো পরের ম্যাচে। পৌঁছেছে জয়ের বন্দরে, অভিনন্দন টিম-বাংলাদেশ।
মেঘে মেঘে বেলা কম হয়নি। কি স্বাধীন বাংলাদেশের, কি টিম-বাংলাদেশের। সমসাময়িক অনেক দেশের সাফল্য চোখ ধাঁধানো। যে মাটিতে বীজ বুনলেই সোনার ফসল ফলে, একটু সুযোগ পেলে যে ছেলেরা বিশ্ব ক্রিকেটকে শাসন করতে পারে সেখানে অামরা থাকি অনাহারে, অর্ধাহারে, শততম ম্যাচ জিততে পাড়ি দিই দীর্ঘ পথ। অাসলে সংকট ছিল নেতৃত্বের, পরিকল্পনার। এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ, বাংলাদেশ এবং অচিরেই ক্রিকেট বিশ্বকে শাসন করবে টাইগার’রা।
ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন, সর্বত্রই ছিল অব্যবস্থা ও পাশ কাটানোর সংস্কৃতি। কেউ দায়িত্ব নিতে রাজি না। অামার দেশ গড়ার দায়িত্ব তো অামার। ভিন গ্রহের কেউ যেমন স্বাধীনতা এনে দেয়নি, সমৃদ্ধিও এনে দেবেনা। প্রতিযোগিতার বিশ্বে একজন যোগ্য রাষ্ট্রনেতাই পারেন উন্নয়নের দৌড়ে দেশকে সামিল করতে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঝুঁকি নিয়ে এমন অনেক কাজ করছেন যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য, পদ্মাসেতু, বিদ্যুত খাত জ্বলন্ত প্রমাণ।
২৯ বছর লেগেছে ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস পেতে, অান্তর্জাতিক মাতৃভাষা স্বীকৃতিতে লেগেছে ৪৫ বছর। পার্বত্য চুক্তি, ৫০ বছর। ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা, স্থলসীমাচুক্তি, ৬৭ বছর। তবে অাগের সরকারগুলো কি করলো? এখানেই মানুষের প্রতি অান্তরিকতার প্রশ্ন, স্বদেশ প্রেমের প্রশ্ন। প্রকৃত জাতীয়তাবাদি নেতা বিশ্বে কমই সমাদৃত হোন, শেখ হাসিনা সমীহ জাগানিয়া নাম, তবে অনেকেই হিংসার চোখে দেখে তাঁকে। তা দেখুক, কিচ্ছু যায়-অাসেনা।
স্বাধীনতার পক্ষের বর্তমান সরকার প্রকৃতপক্ষে এ দেশের মৌলিক অভিভাবক। দেশে অাস্থার সংকট সৃষ্টি করেছে বেগম জিয়া। এই ভদ্রমহিলার কাছে দেশের বিজয় কিংবা আস্থাশীল বাংলাদেশ কোনো কালেই কাম্য ছিলনা। যিনি বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল, যাঁর নেতৃত্বে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ অাস্থা অর্জন করেছে সেখানে ঐ মহিলা চায় হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ। অর্বাচীন অার কাকে বলে??
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।।