আক্ষরিক অর্থে এটা হয়তো উড়িয়ে দেওয়া নয়। কিন্তু যে ম্যাচে প্রতিপক্ষের কোনো সম্ভাবনাই থাকে না, তখন কি বলবেন? ব্যাটে-বলে তেমন ঘটনা ঘটিয়েই এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারের স্বাদ দিল চিটাগং ভাইকিংস। আসলে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে হারিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। তামিমদের জয়টা ২৯ রানের।
আগে ব্যাট করে তামিমের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ১৬১ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে চিটাগং। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার মতো দল এমন রান তাড়া করেও জেতার কথা ভাবতে পারতো। কিন্তু নিয়মিত তাদের উইকেট তুলে নিয়ে ৮ উইকেটে ১৩২ রানে বেধে ফেলে চিটাগং তুলে নেয় দাপুটে এক জয়।
বৃষ্টির বাগড়া এড়িয়ে রবিবার আসলে এবারের বিপিএল শুরু হলো। গতবারের মতো এবারও শুরু থেকে হাসছে তামিমের ব্যাট। শুরু থেকে মেরে খেলেছেন চিটাগং এর অধিনায়ক ও ওপেনার। পার্টনার ডোয়াইন স্মিথ ৯ রান করে চলে গেলেন। তখন দলের রান ৩৬। এরপর দ্রুত আরো ৪৪ রান আসে এনামুল হক ও তামিমের জুটিতে। তামিম এবারের আসরের প্রথম ফিফটিটা করেন ৩২ বলেই।
তামিমের ব্যাটে আরো বড় কিছুর ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু এনামুলের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট তিনি ৩৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কার ৫৪ রানের ইনিংস খেলে। এনামুলও রান আউট হয়ে ফেরেন ১৮ বলে ২২ রান করে।
এরপর দলকে বড় স্কোরের দিকে টেনে নিয়ে যায় পাকিস্তানি শোয়েব মালিকের সাথে বাংলাদেশ জাতীয় দলে এক সময় খেলা জহুরুল ইসলাম। তাদের অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেট জুটিটা ৬০ রানের। ওভার প্রতি রান এসেছে ৮.৭৮। শোয়েব ২৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন। জহুরুল খেলেন ২১ বলে ২৯ রানের হার না মানা ইনিংস।
বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ঝড়ের দরকার ছিল কুমিল্লার। সাথে উইকেট রক্ষার ব্যাপারও ছিল। কিন্তু কোনোটি করতে পারেনি তারা। ৪৬ রানের মধ্যে ইমরুল কায়েস (৬), মারলন স্যামুয়েলস (২৩), লিটন দাস (১৩) ফিরেছেন। গত আসরের সেরা খেলোয়াড় আশার জাইদি (২), মাশরাফি (১), ইমাদ ওয়াসিমও (৪) দ্রুত বিদায় নেন। ১৩ ওভারের মধ্যে ৭৭ রানে ৬ উইকেট হারানো কুমিল্লা ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে।
তারপরও লড়ে যান দুই তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত ও আল-আমিন। নাজমুল ৪ ও আল-আমিন ৮ নম্বরে নেমেছেন। তাদেরই সপ্তম উইকেট জুটি ৩০ রানের। কিন্তু প্রথম ৩ ওভারে ২ উইকেট নেওয়া আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবি নিজের শেষ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করেন। আল-আমিন ১৪ রানে ফেরেন। নবি ৪ ওভারে ২৪ রানে নেন ৪ উইকেট। কুমিল্লার প্রাপ্তি বলতে নাজমুলের ব্যাটিং। শেষ ওভারে ৪ বলে ৪ বাউন্ডারি মেরেছেন তাসকিনকে। বিপিএলে অভিষেকেই তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ১৮ বছরের ব্যাটসম্যান ৪৪ বলে ৬টি চারে ৫৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন।