বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ওপর চাপ কমাতে জ্বালানী স্শ্রায়ী বৈদ্যুতিক ও ইলেট্রিক পণ্য ব্যবহার অত্যাবশ্যক মাধ্যম হতে পারে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে জ্বালানী সাশ্রয়ী পণ্য ব্যবহার ও বিতরণের ক্ষেত্রে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে। মহানগরীর নানকিং দরবার হলে জ্বালানী সাশ্রয়ী পণ্যের ওপর জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এক কর্মশালায় রোববার বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড আ্যান্ড টেস্টিং ইনষ্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিদ্যুতের সীমিত ব্যবহার সম্বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করে। সভায় জ্বালানী সাশ্রয়ী বৈদ্যুতিক ও ইলেট্রনিক পণ্য ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে কিভাবে জ্বালানী ও অর্থ সঞ্চয় করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়। বিএসটিআই এর পরিচালক মোবতোজা হোসেন শাহের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম-প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ ও বাস্তবায়ন , পরিক্ষণ ও মুল্যায়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন প্রধান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরো বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই’র প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী লোকমান মিয়া, বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির স্থানীয় ইউনিটের সভাপতি অধ্যাপক রোজেতি নাজনিন, ইলেট্রিক্যাল ও ইলেট্রনিক্স পণ্য বিক্রেতা গোলাম রব্বানি ও মোস্তাফিজুর রহমান।
আলোচকরা বলেন, বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) মালিকদের জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তি গ্রহণ করতে এগিয়ে আসা উচিত। তারা বলেন, জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তির সুফল সম্বন্ধে সচেতনতার অভাবে এসএমই সেক্টরের ৩৭ হাজার শিল্প কারখানার জ্বালানী খাতে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। প্রকৌশলী লোকমান মিয়া বলেন, অধিকাংশ মালিক জ্বালানী অপচয় কমিয়ে উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি অনুসরণ করে লাইটিং, রেক্টোফিট মটর ও পানি সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন নয়। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ হ্রাসের কারণে গুমকির সম্মুখিন দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা ও শিল্প খাতের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে শিল্প উৎপাদনে জ্বালানী সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সরকার অনেক ইতিবাচক। তিনি বলেন, ‘‘উৎপাদন ও জ্বালানী খরচ কমাতে ও সবুজ পণ্য নিশ্চিত করতে আমাদের শিল্প উৎপাদনে জ্বালানী সাশ্রয়ী প্রযুক্তির ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ’’। তিনি বলেন, ইউরোপীয় রপ্তানি বাজারে সবুজ পণ্যের চাহিদা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।