গত দু’রাতে অন্তত দু’শ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের পর আশ্রয় নিয়েছে উখিয়ার কতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবিসহ প্রশাসনের কড়া নজরদারি সত্বেও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছেনা। মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর অমানুষিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে দালালদের সহযোগিতায় প্রতি রাতেই বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
প্রতি রাতেই বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট থেকে রোহিঙ্গা বোঝাই অন্তত ১২ থেকে ১৫টি করে নৌকা ফিরিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি। কিন্তু তারা পুনরায় মিয়ানমারে ফিরে না গিয়ে গোপনে আশ্রয় নিচ্ছে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার পর দালালদের মাধ্যমে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় পেতে তেমন আর সমস্যা হচ্ছে না। ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা তাদের ওপর চালানো নির্যাতনের কাহিনী তুলে ধরেন।
অভিযোগ উঠেছে, দালালরাই রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাগুলোকে বি জি বি’র নজরদারি কম রয়েছে এমন সীমান্ত পয়েন্টগুলো চিনিয়ে দিচ্ছে। আর ওই সব পয়েন্ট দিয়ে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশে প্রবেশ করে তারা। কক্সবাজারের উখিয়া থানার ইনচার্জ বলেন, বিভিন্ন ভাবে পুলিশ টহল জোরদার করে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
সীমান্ত রক্ষী বি জি বি’র এ অঞ্চলের প্রধানও রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে দালালদের তৎপরতার বিষয়টি স্বীকার করলেন। বিজিবির সাউথ ইষ্ট রিজিয়ন অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফরিদ হাসান বলেন, কোন মানবিক কারণে নয় রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসতে দালাল চক্র ১২ হাজার করে টাকা নিচ্ছে। এটা ব্যাবসা ছাড়া কিছুই না।
কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে বৈধভাবে অবস্থানরত ৩০ হাজারের পাশাপাশি অবৈধ বসবাসকারী রোহিঙ্গার সংখ্যা পাঁচ লাখের বেশি।