কয়েক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো উদঘাটন হয়নি কি কারণে শ্রমিক ভিসা দিচ্ছেনা সৌদি দূতাবাস। জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা’র অভিযোগ, চুক্তিতে মোট শ্রমিকের ২৫ ভাগ নারী পাঠানোর কথা উল্লেখ না থাকলেও হঠাৎই শর্ত জুড়ে দিয়েছে সৌদি আরব। এদিকে, পহেলা ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।
বিগত কয়েক সপ্তাহ যাবত সৌদি দূতাবাসের সামনে ভিসা প্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন হলেও ভিসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যান বেশীরভাগই। এর কারণ অনেকেই জানেনা।
তবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে ভিসা না দেয়ার অভিযোগ থাকলেও কেউ কেউ জানান শর্ত মেনে আবেদন করলে সীমিত সংখ্যক ভিসা পাওয়া যাচ্ছে। যদিও শর্ত মানার সক্ষমতা নেই বেশীরভাগ এজেন্সির।
এদিকে দীর্ঘ সাত বছর পর সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ায় আশার সঞ্চার হলেও হঠাৎ কেন ভিসা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে তার কারণ এখনো জানেনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
তবে আগামী পহেলা ডিসেম্বর দেশটির দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠকে এর কারণ জানতে চাওয়া হবে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্বেগের কথা সৌদি কর্তৃপক্ষকে জানাবার একটা ব্যবস্থা নিয়েছি আমরা। নন ডোমেস্টিক কাজের ক্ষেত্রে এ ধরণের কোটার কথা কোথাও উল্লেখ করা নেই। তারপরেও এটা কেন আসছে, কিভাবে আসছে এই বিষয়গুলো আমাদের পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। খুবই তাড়াতাড়ি এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করবো।’
বিষয়টি নিয়ে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রা’র অভিযোগ, বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে যেসব কথা উল্লেখ নেই আচমকা সেসব শর্ত জুড়ে দিচ্ছে সৌদি দূতাবাস। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ঢিলেমি রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
বায়রার সেক্রেটারি মো. রুহুল আমিন (স্বপন) বলেন, ‘প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তাদের সরাসরি অ্যাপন্টেমেন্ট না চেয়ে একটা চিঠিও দিতে পারতো যে, তাদের ভিসা দিয়ে দেওয়া হোক।’
তবে অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান হবে এবং ২০১৭ সালে সারাবিশ্বে অন্তত ১০লক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করা হয় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।