জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোনসের ফুটবলারদের বহনাকারী বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এই জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বলিভিয়ান পাইলট মিগুয়েল কুইরোজার অবহেলা ছিল বলে জানাচ্ছে বলিভিয়ার সংবাদমাধ্যম। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের বহনকারী বিমানটি ব্রাজিল থেকে সরাসরি কলম্বিয়ায় যায়নি। বরং মাঝে বলিভিয়ায় সান্তা ক্রুজ বিমানবন্দরে যাত্রা বিরতি করে। সেখানকার এক কর্মকর্তা পাইলট মিগুয়েলকে জ্বালানির ব্যাপারে সতর্ক করেন। বিমানে যে জ্বালানি ছিল তাতে কাঁটায় কাঁটায় কলম্বিয়ার মেডেলিন বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে বলে জানান। একটু এদিক-ওদিক হলে জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে বলে তিনি পাইলকে সতর্ক করেন। কিন্তু বিষয়টি আমলে নেননি পাইলট। এছাড়া বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়ার মেডেলিন বিমানবন্দর পর্যন্ত বিমানটির একবারে সর্বোচ্চ দূরত্ব সফরের সীমা ছিল। এতে কলম্বিয়ার মেডেলিন বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা চেষ্টা করলেও জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় বিমানের যাত্রীদের রক্ষা করতে পারেনি। বিষয়টি বলিভিয়ার ‘দেবার’ পত্রিকা জানিয়েছে। বলিভিয়ার সান্তা ক্রুজ থেকে কলম্বিয়ার মেডেলিন বিমানবন্দর পৌঁছে পথে সম্ভব্য তিন জায়গা থেকে জ্বালানি নেয়া যেতো। এমন কি কলম্বিয়ায় প্রবেশের পর বোগোতা বিমানবন্দর থেকেও জ্বালানি নেয়া যেতো। কিন্তু পাইলট তার কিছুই করেননি। তিনি সরাসরি মেডেলিনে পৌঁছতে চান। পাইলটের এই খামখেয়ালিতেই ব্রাজিলের ক্লাব শাপেকোয়েনসের খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ ৭১জনের জীনব দিতে হয়বলে জানাচ্ছে বলিভিয়ার সংবামাধ্যমগুলো। পাইলট নিজেও বাঁচতে পারেননি। তবে ৫ জন মারাত্মক আহত অবস্থায় চিকিৎসায় আছেন। আরো হৃদয় বিদারক কথা হলো, ৩৬ বছর বয়সী মিগুয়েলের বাবাও একজন পাইলট ছিলেন। তিনি যখন কিশোর তখন তার পিতাও বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান বলে তার চাচাতো ভাই বলিভিয়ার মিডিয়াকে জানিয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে তৃতীয় সন্তানের পিতা হয়েছেন মিগুয়েল। ব্রাজিলিয়ান এক নারীকে বিয়ে করেন তিনি। তিন সন্তানসহ সেখানেই থাকতেন তিনি। তবে ব্রাজিলের নাগরিকত্ব পাননি মিগুয়েল। দেশটির নাগরিকত্বের জন্য কয়েকদিন আগে দরখাস্ত করেছিলেন বলেও জানায় তার আত্মীয়রা।